কুয়াকাটা
আ’লীগ নেতা বারেক মোল্লাকে সন্ত্রাসী লিখে শ্রমিক লীগ নেতার বিবৃতি
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা ও পটুয়াখালী শ্রমিক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বারেক মোল্লাকে সন্ত্রাসী উল্লেখ্য করে শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক প্যাডে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের সই করা বিবৃতির কপিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এতে তিনি বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে রিসোর্টের সম্মুখে আওয়ামী লীগের এক শান্তি সমাবেশে কলাপাড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমানের উপস্থিতিতে সাবেক পৌরমেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ও ভূমিদস্যুরা বর্তমান পৌরমেয়র আনোয়ার হাওলাদারের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। আনোয়ার হাওলাদার একজন সৎ, নির্ভীক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, কুয়াকাটা পৌরসভার উন্নয়নের রূপকার ও আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে সন্ত্রাসী বারেক মোল্লাসহ অন্য চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ঔষধের ফার্মেসিতে গেলে দ্বিতীয়বার আবারো হামলা করে। তার ওপর এ হামলার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং বারেক মোল্লাসহ সব সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় শান্তি সমাবেশে পৌর মেয়রের ওপর হামলা, আহত-১০
বিবৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে তোফাজ্জল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার কুয়াকাটায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে বর্তমান মেয়রের ওপর হামলা হয়েছে। বারেক মোল্লা কুয়াকাটায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে। শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তাই আমি বিবৃতি দিয়েছি।
তবে বিবৃতির বিষয় জানেন না জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি মাত্র শুনলাম। সভাপতি কী বিবৃতি দিয়েছে, আমার সঙ্গে আলাপ করেননি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি কখনো পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নিয়ে বিবৃতি দিতে পারে না। এটা তার সাংগঠনিক দায়িত্ব বহির্ভূত কাজ।
এ বিষয় জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। হতে পারে টাকা পয়সা খেয়ে এমনটি করেছেন।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/এএসএম