বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন

বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষ স্বাচ্ছন্দবোধ করবে, এখানে অবস্থান করে বিশ্রাম নিতে পারবে সেই জন্য ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পেছনে আমার পূর্বসূরীর অবদান যথেষ্ট। তিনি চিন্তা করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠায় প্রজেক্ট হাতে নেন। তারই অংশ হিসেবে নীলফামারীতে এ ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা হলো।

তিনি আরও বলেন, মানুষের কল্যাণে জাতির জনকের কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে বিচারকরা সকলেই দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বেঞ্চ এবং বারের সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আইনজীবীদের বলবো আপনারা বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন। আর বিচারকদেরকে বলবো আপনারা বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন।

বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের স্থানীয় আদালত শুরু হওয়ার কথা সকাল ৯টায়। তাই আইনজীবীদের অনুরোধ করবো তারা যেন সময় মেইনটেইন করে আদালতে উপস্থিত হন। আর বিচারকদের অনুরোধ করবো যেন নির্ধারিত সময়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। যাতে করে আমরা প্রতিদিন অন্তত ৪-৫টা মামলা নিষ্পত্তি করতে পারি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার জট দীর্ঘ দিনের সমস্যা। মামলার জট কমাতে যে সংখ্যক বিচারক প্রয়োজন তা নেই। এরপরও নিদারুণ চেষ্টা চলছে যাতে মামলার ডিসপোজাল বাড়ানো যায়। এজন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম সারোয়ার ও এ বি এম গোলাম রসুল, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির নেতারা।

ইব্রাহিম সুজন/এএইচ/জিকেএস