ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দাদন পরিশোধ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় চাষীরা

প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ২০ মে ২০১৬

বোরোর বাম্পার ফলন পাওয়ার পরও বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দাদন পরিশোধ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা। উৎপাদন ব্যয় যা হয়েছে তাতে প্রতি মণ ধান বিক্রিতে চাষীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে এক’শ টাকা।

সূত্র মতে, প্রান্তিক বোরো চাষীদের অধিকাংশই মহাজনদের কাছ থেকে মৌসুমের শুরুতে এক হাজার টাকার বিনিময়ে এক মণ ধান ও নগদ এক হাজার টাকা হারে দাদন নিয়েছেন। এ টাকায় চাষীরা উচ্চমূল্যে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরিসহ চাষাবাদ করেছেন। কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৬শ টাকা। খরচ বেশি হলেও ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছিল। কিন্তু বাজার মূল্য তাদের চরম হতাশ করেছে।

বর্তমানে প্রতি মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫’শ টাকা দরে। এতে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষীদের কম পক্ষে এক’শ টাকা করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কোথাও লোকসানের পরিমাণ প্রতি মণে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ধানের বাজার মূল্য কম হওয়ায় ধান কাটা শ্রমিকেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছরেও চাষীরা বোরো উৎপাদনে লোকসান গুণেছেন।

চাষীরা বলেন, সরকার কৃষকের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলেও ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ম-নীতিসহ নানা জটিলতায় কৃষকরা ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাধ্য হয়েই তাই তারা স্থানীয় মহাজন কিংবা এনজিওর কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করে থাকেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা কিংবা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ না পেলে প্রান্তিক বোরো চাষীদের গোয়ালের গরু কিংবা স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে মহাজনের দাদনের টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।

রবিউল এহসান রিপন/এসএস/পিআর

আরও পড়ুন