ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যকর্ম

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ২০ জুন ২০২৫

বেগম সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আসল নাম সৈয়দা সুফিয়া বেগম। কামালউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিয়ের পর নাম পরিবর্তন করে হন বেগম সুফিয়া কামাল। তিনি ১৯১১ সালের ২০ জুন তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের বাকেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তর্গত শিলাউরের সৈয়দ বংশ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তিনি বাংলা ভাষা শেখেন তার মায়ের কাছে। নানাবাড়িতে তার বড় মামার একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। মায়ের উৎসাহ ও সহায়তায় লাইব্রেরির বইপড়ার সুযোগ পান। প্রথম স্বামী নেহাল হোসেন সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় সুফিয়া কামালকে উৎসাহিত করেন। সাহিত্য ও সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগও ঘটিয়ে দেন। সুফিয়া কামাল বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখা পড়তে শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

১৯১৮ সালে কলকাতায় গিয়ে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ফলে সুফিয়া কামালের কাজেও ছাপ পাওয়া যায় বেগম রোকেয়ার। সাহিত্যপাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা শুরু করেন। ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ত্রিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র প্রমুখের দেখা পান তিনি।

১৯৩২ সালে স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে আর্থিক সমস্যায় পড়েন। তিনি কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৪২ সাল পর্যন্ত এ পেশায় নিয়োজিত থাকেন। এর মাঝে ১৯৩৯ সালে কামালউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দেশবিভাগের পূর্বে কিছুকাল নারীদের জন্য প্রকাশিত সাময়িকী ‘বেগম’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো- কাব্যগ্রন্থ: সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, প্রশস্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, অভিযাত্রিক, মৃত্তিকার ঘ্রাণ, মোর জাদুদের সমাধি পরে, Mother of Pearls and Other Poems। গল্পগ্রন্থ: কেয়ার কাঁটা। ভ্রমণকাহিনি: সোভিয়েতে দিনগুলি। স্মৃতিকথা: একাত্তরের ডায়েরি। আত্মজীবনী: একালে আমাদের কাল। শিশুতোষগ্রন্থ: ইতল বিতল, নওল কিশোরের দরবারে। অনুবাদ: সাঁঝের মায়া (রুশ ভাষায় বলশেভনী সুমের্কী)। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ: মুক্তিযুদ্ধ মুক্তির জয়।

বেগম সুফিয়া কামাল ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। প্রতি বছর দিনটিতে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২০ জুন তাঁর ১০৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ডুডল তৈরি করে সম্মাননা প্রদান করে গুগল।

বিজ্ঞাপন

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন