মোদীর রাজ্যে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা, মমতার গভীর শোক

গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শোকবার্তায় তিনি বলেন, আজ আহমেদাবাদে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি হতবাক ও গভীরভাবে মর্মাহত। আমাদের সবার জন্যই এটি অত্যন্ত দুঃখজনক সংবাদ। দুর্ঘটনাটি আমাকে নাড়া দিয়েছে এবং আমার হৃদয়কে ব্যথিত করেছে।

মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, যদিও আমরা জীবিতদের বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমরা সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। তবে গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্লেনটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। আমি এই মুহূর্তে শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, যেন আরোহীদের সবাই বেঁচে থাকেন।

বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটিতে কলকাতার কোনো যাত্রী ছিলেন না। তাছাড়া এই ঘটনার পর কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আহমদাবাদগামী সব ফ্লাইট আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের প্লেনটি। স্থানীয় বি.জে. মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয় সেটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ছাত্রাবাসের ওপর প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত পাঁচ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র ও একজন পিজিটি (পোস্টগ্র্যাজুয়েট রেসিডেন্ট)।

এদিকে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। প্লেনটিতে আরও ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

দুর্ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। বিমানবন্দর এলাকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ও পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি, তবে বহু হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, দুর্ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে ও যথাসময়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবে তারা।

ডিডি/এসএএইচ