শেখ হাসিনার মন খারাপ থাকলে গান শোনাতেন মমতাজ: পিপি

সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। এদিন শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, এই শিল্পী মমতাজ বেগম ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহায়তায়কারী। তিনি তার গানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার মন খারাপ থাকলে গান শুনাত মমতাজ।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই মমতাজ বলেছেন তিনি নাকি খালেদা জিয়ার বাবা কে তা জানেন না। অথচ খালেদা জিয়ার বাবা ইস্কান্দার মজুমদারকে সারাবিশ্ব চিনে। এছাড়াও মমতাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন।
পরে শুনানি শেষে মমতাজের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। এর আগে আজ বেলা ২টা ২০ মিনিটে মমতাজকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়ে। তার আগে সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন
- মমতাজকে লিফটে নিতে আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বাধা
- মমতাজকে আদালতে তোলার সময় ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন থেকে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হন তিনি।
এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলার মমতাজ বেগম ৪৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
শিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বির্তকিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মানিকগঞ্জ-২ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান মমতাজ।
এমআইএন/এমআইএইচএস/এমএস