ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

নতুন ফ্রিজ কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০২ জুন ২০২৫

মধ্যবিত্ত সংসারে নতুন ফ্রিজ কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। চিন্তা থাকে - দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে কিনা, প্রয়োজন সব মিটবে কিনা, বিদ্যুৎ বিল কেমন আসেব, কতো লিটারের ফ্রিজ কেনা উচিত - আরও কতো কি! আবার এর কার্যকারিতা সরাসরি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করে। তাই সঠিক ফ্রিজটি নির্বাচন করার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার।

বাজেট, প্রয়োজনীয়তা এবং ফ্রিজের ফিচার বিবেচনা করে সঠিক ফ্রিজ নির্বাচন করলে ভবিষ্যতে অসুবিধা এড়ানো যায়। চলুন জেনে নিই ফ্রিজ কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

১. ফ্রস্ট নাকি নন-ফ্রস্ট
সবার প্রথমে যে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিতে হয় তা হলো আপনি নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনবের নাকি ফ্রস্ট। ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ জমে এবং নন-ফ্রস্টে জমে না। এটি হলো প্রধান পার্থক্য। ফ্রস্ট ফ্রিজ হলে নিয়মিত বরফ পরিষ্কার করতে হয়। মাঝে মাঝে বেশি বরফ জমে গেলে ব্যবহারে একটু অসুবিধা হতে পারে। বর্তমানে অবশ্য অনেক উন্নত প্রযুক্তি আসার কারণে ফ্রস্ট ফ্রিজের বরফগুলো ঝুরিঝুরি হয়, যা পরিষ্কার করা সহজ। সেই সঙ্গে ফ্রস্ট ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংস রাখার ফ্রিজারটি নন-ফ্রস্টের চেয়ে তুলনামূলক বড় হয়। তবে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলোর দাম সাধারণত ফ্রস্ট ফ্রিজের চেয়ে বেশি হয়।

২. ফ্রিজের ধরন ও সাইজ
ছোট পরিবার হলে ২০০ থেতে ২৫০ লিটারের ফ্রিজ যথেষ্ট। তবে বড় পরিবারের জন্য আরও বড় ফ্রিজ প্রয়েজন হতে পারে। বড় ফ্রিজের ডিজাইনে আবার কিছু বৈচিত্র আছে। আকার ও ডিজাইনের প্রশ্নে তিন ধরনের ফ্রিজ বাজারে পাবেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সিঙ্গেল ডোর বা ১ দরজা, এটিতে শুধু ফ্রিজ বা শুধু ফ্রিজার থাকে, সাধারণত ছোট পরিবারের জন্য উপযুক্ত। ডাবল ডোর বা ২ দরজা, এটির সাধারণত উপরে ফ্রিজ ও নিচে ফ্রিজার; এবং সাইড বাই সাইড বা বড় মডেল, এগুলোতে ফ্রিজ ও ফ্রিজার পাশাপাশি থাকে। বড় পরিবার বা বেশি জায়গা প্রয়োজন হলে এমন ফ্রিজ নিতে পারেন।

তবে দোকানে গিয়ে ডিজাইন পছন্দ করার আগে আপনার বাড়িতে ফ্রিজ রাখার জায়গাটি মেপে যাবেন। সাধারণত ২০০-৩০০ লিটার ক্যাপাসিটির একটি ফ্রিজ একটি মধ্যবিত্ত একক পরিবারের জন্য যথেষ্ট।

বিজ্ঞাপন

৩. বাজেট প্ল্যানিং
ফ্রিজের দাম ক্যাপাসিটি ও ব্র্যান্ড অনুযায়ী ভিন্ন হয়। বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু ব্র্যান্ড মানসম্পন্ন ফ্রিজ তৈরি করছে। এই ব্র্যান্ডগুলোতে লো-বাজেট (২০-৩০ হাজার) থেকে শুরু করে হাই-এন্ড (৭০ হাজার টাকার বেশি) বাজেটের ফ্রিজ পাওয়া যায়। তবে অনেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রতি দুর্বল থাকেন, সেগুলোর দাম একটু বেশি হওয়ায় বাজেটের তেমন প্রস্তুতি থাকতে হবে।

ফ্রিজের দাম সাধারণত নির্ভর করে ব্র্যান্ড, আকার এবং ফ্রস্ট বা নন-ফ্রস্টের ওপর। তাই বাজেটে টানাটানি থাকলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী দেশীয় ব্র্যান্ড শপগুলো থেকে দেখা শুরু করতে পারেন। তবে যে ব্র্যান্ডই ‍কিনুন, পরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হওয়া ভালো। সেই সঙ্গে ওয়ারেন্টির বিষয়টি অবশ্যই বিক্রেতার থেকে বুঝে নিবেন।

৪. প্রয়োজনীয় ফিচার
ফ্রিজের কিছু ফিচার ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে। সে বিষয়গুলো খেয়াল করুন-

বিজ্ঞাপন

স্টার রেটিং বা এনার্জি এফিসিয়েন্সি: ৩-৫ স্টার রেটিং ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক।

ফ্রস্ট-ফ্রি টেকনোলজি: এটি ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়, পরিষ্কার রাখা সহজ।

ইনভার্টার কম্প্রেসর: শব্দ কম করে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়।

বিজ্ঞাপন

স্মার্ট কন্ট্রোল: টাচ প্যানেল বা মোবাইল অ্যাপ কন্ট্রোল থাকলে ব্যবহারে সুবিধা। তবে এই ফিচারটির সুবিধা সবার কাছে সমান নয়।

৫. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
এসব বিষয় ছাড়াও ফ্রিজ পছন্দ করার আগে কয়েকটি জিনিস জেনে নিবেন-

বিদ্যুৎ সংযোগ: কিছু ফ্রিজে ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার প্রয়োজন হয়। বিক্রেতা বা কোম্পানি রিপ্রেজেন্টিটিভের কাছে বিষয়টি জেনে নিন।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশের তাপমাত্রা: গরম এলাকায় উচ্চ পারফরম্যান্সের ফ্রিজ প্রয়োজন হয়।

ফিচার: ফ্রস্ট-ফ্রি ও ইনভার্টার টেকনোলজি থাকলে রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়।

বিশ্বস্ততা: দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য ভালো ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

নক টেস্ট: দোকানে ফ্রিজ চালু করে কম্প্রেসরের শব্দ ও ঠান্ডা করার ক্ষমতা পরীক্ষা করুন।

সঠিক ফ্রিজ নির্বাচন করে আপনি বছরের পর বছর সুবিধা পাবেন। তাই কেনার আগে ভালো করে বুঝে নিন এবং প্রয়োজনে বিক্রয়কারীর কাছে জিজ্ঞেস করুন।

এএমপি/এএসএম

বিজ্ঞাপন