জেনেভা ক্যাম্প
বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় অভিযান, কোটি টাকা-ককটেল উদ্ধার
জেনেভা ক্যাম্পে বুনিয়া সোহেলের আস্তানা থেকে কোটি টাকাসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়/ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মাদক কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। অভিযানে নগদ এক কোটি ১৩ লাখ টাকা, ককটেল ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ১৩টি তাজা ককটেল, ২৫টি আধা প্রস্তুত ককটেল, ৪০০ গ্রাম গানপাউডার, ২টি সামুরাই, ১২টি হকিস্টিক, ২৯টি হেলমেট, ২টি ড্রাগন লাইট, ১১ কেজি গাঁজা, ১২ প্যাকেট হেরোইন, নগদ এক কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং একটি টাকা গণনার মেশিন উদ্ধার করা হয়।
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, বুনিয়া সোহেল রাতে জেনেভা ক্যাম্পে আসবে। তাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। তবে বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছামাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বুনিয়া সোহেলসহ আসামিরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। সংকীর্ণ গলি ও লাগোয়া ভবনের কারণে সোহেলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ সময় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
- আরও পড়ুন
- জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান: হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনসহ গ্রেফতার ১৪
- জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানে সেনাবাহিনী
- জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান, অস্ত্রসহ গ্রেফতার দুই মাদক কারবারি
তিনি জানান, বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদকসহ মোট ৩৮টি মামলা রয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকেই বুনিয়া সোহেল গ্রেফতার হয় কিন্তু ছয় মাস কারাবাসের পরে তিনি অল্প কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পরপরই বুনিয়া সোহেল আবার ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অপরাধ কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, গত দুইদিন আগে বুনিয়া সোহেলের লোকজন জেনেভা ক্যাম্পে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওইদিন রাতে সেনাবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করে বুনিয়া সোহেলের ১৩ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করে। আজ অল্পের জন্য বুনিয়া সোহেল হাতছাড়া হয়ে যায়, তবে তাকে এবং অন্য সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুনিয়া সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার সব মালামাল আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
টিটি/এসএনআর/জিকেএস