ডাকযোগে ভোটদানে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ উদ্বোধন ১৮ নভেম্বর
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন/ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডাকযোগে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন অ্যাপ পোস্টাল ভোট বিডি আগামী ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে দূতাবাস ও মিশন অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনলাইন সভায় এ তথ্য জানান তিনি। সভায় নির্বাচন কমিশনের ( ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া ও পাঠানোর পদ্ধতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, ভোট দেওয়ার পর ফেরত খাম আর নির্বাচন কমিশনে আসবে না। সরাসরি রিটার্নিং অফিসারের কাছে চলে যাবে।
তিনি বলেন, তারা সুনির্দিষ্ট সুরক্ষিত পদ্ধতি নকশা করেছেন। ডাক বিভাগ ঢাকাতে ফিরতি ব্যালট জমা করে প্রত্যেক রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছে দেবে। দেশে ভোট গণনার দিন কেন্দ্রভিত্তিক প্রবাসীদের ভোটও গণনা হবে।
অ্যাপে নিবন্ধনের সময় প্রবাসী ভোটারদের সঠিক তথ্য ও ঠিকানা দেওয়ার অনুরোধ করে কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা ও প্রতীক বরাদ্দের পর দ্রুততম সময়ে ভোট দিয়ে ফেরত পাঠাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যালট না পৌঁছালে গণনায় নেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ বড় চ্যালেঞ্জ: ইসি সানাউল্লাহ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী-সরকারি চাকরিজীবীরা
পোস্টাল ভোটে ২৫ শতাংশ ব্যালট নষ্ট হয়: ইসি
দূতাবাস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমেই আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পৌঁছাচ্ছি। অনুরোধ থাকবে- কমিউনিটিতে এ তথ্য জানাবেন। ১৮ নভেম্বর অ্যাপটি উদ্বোধন করা হবে। এটি ডাউনলোড করেন, পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় নিবন্ধনের জন্য যে সিডিউল দেওয়া হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।’
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোটগ্রহণে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ দীর্ঘ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এটাই বৈশ্বিক পরামর্শ। কিন্তু আমাদের প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। যে কারণে যথোপযুক্ত পরীক্ষার সময় পাইনি। প্রথম চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে নতুনত্বের চ্যালেঞ্জ। এখানে টুকটাক ঝামেলা থাকতে পারে। সবাইকে সহায়তা করতে হবে। ভোটের গোপনীয়তা রাখতে হবে।
এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ভোটের জন্য প্রায় ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে ইসির।
এমওএস/একিউএফ/এমএস