ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সচিবালয়ে ভাঙা হচ্ছে সংযোগ সেতু, বসবে আগুন প্রতিরোধী দরজা

মাসুদ রানা | প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের অগ্নিনিরাপত্তায় সুপারিশ বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে সরকার। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নির্বিঘ্নে সচিবালয়ের যে কোনো ভবনের পাশে গিয়ে যাতে আগুন নেভাতে পারে, সেজন্য সব সংযোগ সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া পুরোনো সব ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে বসানো হচ্ছে আগুন প্রতিরোধী দরজা। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের জন্য আলাদা একটি গেট করা হচ্ছে। সচিবালয়ের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে সচিবালয়ে সবচেয়ে বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে যায় ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলা। ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর পরের দিন সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা।

তখন এ আগুনের ঘটনা তদন্তে ২৬ ডিসেম্বর রাতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ছিলেন আট সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক। এ কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ, বর্তমান অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিবেচনায় ভবিষ্যতে সচিবালয়ে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ দেয়।

সচিবালয়ে ভাঙা হচ্ছে সংযোগ সেতু, বসবে আগুন প্রতিরোধী দরজা

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে সচিবালয়ের যে কোনো ভবনের পাশে গিয়ে আগুন নেভাতে পারে, সেজন্য সব সংযোগ সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: জাগো নিউজ

কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে (এক থেকে ছয় মাস) বাস্তবায়নযোগ্য ১২টি, মধ্যম মেয়াদে (ছয় থেকে ১২ মাস) বাস্তবায়নযোগ্য পাঁচটি, দীর্ঘমেয়াদে (১২ মাসের বেশি) বাস্তবায়নযোগ্য ১০টি এবং সচিবালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আটটি সুপারিশ দেয়। তবে সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সচিবালয়ের অগ্নিনিরাপত্তায় এর আগে আওয়ামী লীগের সময়ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটি বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ করলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাতে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সরকার। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপরতা শুরু হয়।

আরও পড়ুন
সচিবালয়ে আগুন, আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও প্রায় স্বাভাবিক সচিবালয়
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
নিয়োগ পেয়েও যোগ দিতে পারছেন না সচিবরা

নতুন দুটি ভবনসহ সচিবালয়ে এখন মোট ১৩টি ভবন রয়েছে। ৯ নম্বর (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন), ডে-কেয়ার এবং অভ্যর্থনা অংশের ভবন ছাড়া সবগুলো ভবনেই যাতায়াতের জন্য সংযোগ সেতু রয়েছে। এ সেতুগুলো নিচু হওয়ায় সচিবালয়ের ভেতরে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের উঁচু মইবাহী গাড়ি বা টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) চলাচল করতে পারত না। দূর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হতো। তাই সংযোগ সেতুগুলো ভেঙে ফেলার জন্য ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছিল।

এর মধ্যে সচিবালয়ের অগ্নিনিরাপত্তায় বাধা সংযোগ সেতুগুলো ভেঙে ফেলা শুরু করেছে গণপূর্ত বিভাগ।

সচিবালয়ে ভাঙা হচ্ছে সংযোগ সেতু, বসবে আগুন প্রতিরোধী দরজা

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে সচিবালয়ের যে কোনো ভবনের পাশে গিয়ে আগুন নেভাতে পারে, সেজন্য সব সংযোগ সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: জাগো নিউজ

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫ নম্বর ভবন থেকে ৬ নম্বর ভবনে যাওয়ার এবং ৬ নম্বর ভবন থেকে ৭ নম্বর ভবনে যাওয়ার সংযোগ সেতুর একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সচিবালয় অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ সরকারি দপ্তর। খুবই অল্প জায়গায় অনেক সংখ্যক মানুষ এখানে কাজ করেন। এখানে প্রায়ই ছোটোখাটো আগুনের ঘটনা ঘটে। আগে বেশির ভাগ ভবন নির্মাণের সময় অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তাই এখানকার অগ্নিঝুঁকি নিরূপণের পর করণীয় বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করে নতুন ১১ নম্বর (অর্থ মন্ত্রণালয়) ও ১ নম্বর (মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পুরোনো ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় (কেপিআই) অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে একটি বিশেষ প্রকল্প একনেকে উঠছে বলেও জানিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা।

সচিবালয়ে ভাঙা হচ্ছে সংযোগ সেতু, বসবে আগুন প্রতিরোধী দরজা

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে সচিবালয়ের যে কোনো ভবনের পাশে গিয়ে আগুন নেভাতে পারে, সেজন্য সব সংযোগ সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: জাগো নিউজ

এ বিষয়ে ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনতাসির মামুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সচিবালয়ের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। ফায়ার সার্ভিসের ৬৮ মিটার লেডারসহ টার্ন টেবল লেডার যাতে সচিবালয়ের ভেতরে নির্বিঘ্নে মুভ করতে পারে সেজন্য আমরা কানেক্টিং ব্রিজগুলো ভেঙে দিচ্ছি। এরই মধ্যে ৫ থেকে ৬ নম্বর এবং ৬ থেকে ৭ নম্বর কানেক্টিং ব্রিজে একটি অংশ ভাঙা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো যাতে এই মুহূর্তে সবগুলো ভবনের পাশে দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা এখনই করেছি।’

আরও পড়ুন
সচিবালয়ে থাকবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা রোববার
সচিবালয়ের ভবনগুলোতে ফেলে রাখা পরিত্যক্ত মালামাল অপসারণের অনুরোধ
বিমানবন্দরে আগুন: স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কোর কমিটি
চিকিৎসক ও প্রতিবন্ধীদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৪ বছর হচ্ছে

তিনি বলেন, ‘কানেক্টিং ব্রিজগুলো এখন দোতলা উচ্চতায় রয়েছে। এগুলো সব ভেঙে পরবর্তীসময়ে তিনতলা উচ্চতায় আবার নির্মাণ করা হবে।’

‘পাঁচ নম্বর গেট (প্রেস ক্লাবের দিকের) দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সচিবালয়ে এখন প্রবেশ করতে পারছে। তবে এক, দুই এবং চার নম্বর গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।’

শুধু ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের জন্য একটি গেট তৈরি করা হবে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ওই গেটটি মূলত সব সময় বন্ধ থাকবে, শুধু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সেটি খুলে দেওয়া হবে এবং সেখান দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করবে। জিপিওর দিকে চার নম্বর গেটের পাশে এই গেটটি করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’

পুরোনো ভবনগুলোর সব ফ্লোরে আগুন প্রতিরোধী দরজা লাগানো হবে জানিয়ে মুনতাসির মামুন বলেন, নতুন ভবনগুলোর সব ফ্লোরে ফায়ার সেফটি ডোর রাখা হয়েছে। এছাড়া সাত নম্বর ভবনের যে চারটি ফ্লোর আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছিল, সেই চারটি ফ্লোর পুনর্নির্মাণ করে সেখানে ফায়ার ডোর সংযোজন করা হয়েছে।

‘ফায়ার সেফটি ডোর লাগালে আগুন আর সিঁড়ির দিকে আসবে না। মানুষ সিঁড়ির দিকে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে। আগুন লাগলে মানুষ ধোঁয়ার কারণে নিঃশ্বাস নিতে পারে না। নিঃশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া টেনে নিলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর আগুনে পুড়ে মারা যায়। ফায়ার ডোর খুলে বাইরে যেতে পারলেই নিরাপদ। কারণ এই ডোর ভেদ করে আগুন কিংবা ধোঁয়া কিছুই বাইরে যাবে না। ভবনের সবগুলো ফ্লোরের দরজায়ই ফায়ার ডোর থাকবে। তাই আগুন ছড়াতে পারবে না। আগুন ক্রমাগত দুই ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকলেও এই ফায়ার ডোর নিরাপত্তা দিতে সক্ষম।’

সচিবালয়ে ভাঙা হচ্ছে সংযোগ সেতু, বসবে আগুন প্রতিরোধী দরজা

ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে সচিবালয়ের যে কোনো ভবনের পাশে গিয়ে আগুন নেভাতে পারে, সেজন্য সব সংযোগ সেতু ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: জাগো নিউজ

 

মুনতাসির মামুন বলেন, ‘ফায়ার ডোর স্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা ছয় নম্বর ভবনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ এটি বহুতল ভবন।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সচিবালয়ে আগুন নেভানোর সুবিধার্থে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নানান ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা দেখছি, সুপারিশ অনুযায়ী সংযোগ সেতুগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। কানেকটিং ব্রিজগুলো ভেঙে দিলে ৫ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করে মোটামুটি সবগুলোর ভবনের কাছে ফায়ারের গাড়ি যেতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘আগুন প্রতিরোধে নেওয়া কাজগুলো শেষ হলে আমরা আবার দেখব। এরপর কোনো অবর্জারভেশন থাকলে আবার জানাব।’

আরও পড়ুন
১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকমুক্ত হবে
প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ সমস্যা, ‘পিডি পুল’ গঠনের সুপারিশ
সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা, কঠোর নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুপারিশ দিয়েছিল তদন্ত কমিটি

স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য

প্রয়োজন অনুযায়ী সচিবালয়ের প্রবেশ পথগুলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি প্রবেশের উপযোগী করা এবং অগ্নিনির্বাপণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ভবনে সংযুক্তকারী কানেকটিং ব্রিজগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করা।

ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন নিরুৎসাহিত করা; একান্ত অপরিহার্য হলে ক্লাস এ ফায়ার রেটেড ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার নিশ্চিত করা।

কর্মক্ষেত্রে আগুনের বিস্তার, প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে অফিস কর্মীদের নিয়মিত ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং সেফটি কমিটি গঠনসহ ফায়ার ফাইটিং, ইভ্যাকুয়েশন ও ফার্স্ট-এইড দল গঠনের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহায়তায় নিয়মিত ড্রিল অনুশীলন করা।

মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনভিজ্ঞ লোকবল/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনসহ বৈদ্যুতিক/যান্ত্রিক স্থাপন/মেরামত কাজ না করা।

 ভবন ব্যবহারকারী দপ্তর/সংস্থা ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অবিলম্বে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান।

• স্থাপিত অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জাম গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের উপযোগীকরণ, উপযুক্ত মেয়াদান্তে নিয়মিত পরিদর্শন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও তার ডকুমেন্ট সংরক্ষণ চালু করা।

দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য

 জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের সমন্বয়ে বছরে কমপক্ষে একবার যৌথ মহড়ার আয়োজন করা।

 দীর্ঘমেয়াদি বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মতো উন্নত সিস্টেম ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থা একীভূত করা।

সচিবালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশনগুলোর (কেপিআই) জন্য একটি ‘বিশেষ শ্রেণি’র ফায়ার স্টেশন (আধুনিক গাড়ি ও সাজসরঞ্জামাদিসহ) স্থাপন করা।

নতুন ভবন নির্মাণ এবং পুরোনো ভবন রিনোভেশনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০২০ অনুসরণ করা।

কেপিআই/ভিআইপি স্থাপনার চেক লিস্ট অনুযায়ী নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অডিট সম্পন্ন করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিদ্যমান পুরোনো স্থাপনাগুলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) প্রণীত হওয়ার আগে নির্মিত হওয়ায় এবং সময় সময় বিল্ডিং কোড পরিবর্তন হওয়ায় পুরোনো স্থাপনাগুলোর ভূমিকম্প সহনীয়তা অ্যাসেসমেন্ট করে প্রয়োজনে রেট্রোফিটিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

আরএমএম/এমএমএআর/এমএফএ/এমএস

আরও পড়ুন