শাহজালাল বিমানবন্দর

কার্গো অপারেশন একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি: বেবিচক চেয়ারম্যান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন/ফাইল ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের পরও ‘কার্গো অপারেশন’ একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বেবিচক সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে ৯ নম্বর গেট দিয়ে সাময়িকভাবে কার্গো ক্লিয়ারিং কার্যক্রম চালু আছে এবং স্থায়ী কাঠামো দ্রুত গড়ে তোলার কাজ চলছে। তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের যেখানে আগুন লেগেছিল, সেটি মূলত ইমপোর্ট কার্গো এলাকা। এই জায়গাটি পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কাস্টমস, সিএনএফ এজেন্ট এবং কুরিয়ার এজেন্টরা। তাদের বাইরের লোকজনের প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য এক্সেস কন্ট্রোল ৮ নম্বর গেটে। সেই প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বেবিচকের, কিন্তু ভেতরের কার্গো ব্যবস্থাপনা ওই সংস্থাগুলোর।

কার্গো কার্যক্রম প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ পুড়ে গেলেও আমরা রাত আড়াইটা পর্যন্ত সেটি সচল রেখেছিলাম। এরপর উপদেষ্টার নির্দেশনায় ৯ নম্বর গেট দিয়ে নতুন করে কার্গো ক্লিয়ারিং চালু করেছি। এটি আপাতত সাময়িক ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হবে।

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে একাধিক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এই কমিটিগুলোর প্রতিবেদন পেলে আমরা জানবো কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটলো, ভবিষ্যতে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আমরা আশা করছি, এই তদন্ত থেকেই ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, আগুন লাগার পর দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে বিমানের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৯টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। মোট ১৫টি ফ্লাইট ডাইভার্ট করতে হয়। এর মধ্যে আটটি চট্টগ্রাম, দুটি সিলেট, চারটি কলকাতা এবং একটি কাঠমান্ডুতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে তিনটি ছিল অভ্যন্তরীণ, ১১টি আঞ্চলিক ও একটি কার্গো ফ্লাইট।

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, আগুনের কারণে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছিল। তবে পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে সব ব্যাকলগ ক্লিয়ার করা সম্ভব হয়েছে। বিকেল ৪টার পর থেকে সব ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলছে।

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে যেসব এয়ারলাইন অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে তাদের বিষয়ে উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন ২১ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের জন্য সব ধরনের কর ও চার্জ মওকুফ থাকবে। এটি যাত্রীসেবার স্বার্থে একটি ভালো সিদ্ধান্ত।

এমএমএ/এমএমকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।