চট্টগ্রামে ভাড়াটে খুনি হত্যা করেন বিএনপিকর্মীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
নিহত বিএনপিকর্মী আবদুল হাকিম/ ছবি- সংগৃহীত

বালুমহালের দ্বন্দ্বে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামের রাউজানের বিএনপিকর্মী আবদুল হাকিমকে (৫২)। কর্ণফুলী নদীর পাড়ের বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় সন্ত্রাসীদের দুটি দল। আসামিদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর আবদুল হাকিম প্রাইভেটকারে চট্টগ্রাম নগর থেকে রাউজানের বাগোয়ানের হামিম অ্যাগ্রো ফার্মে যান। বিকেলে চট্টগ্রাম শহরে ফেরার পথে মদুনাঘাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে তার গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে আবদুল হাকিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার গাড়িচালকও গুলিবদ্ধ হন।

আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ
মোটরসাইকেলে এসে প্রাইভেটকারে থাকা বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা

এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে ৩১ অক্টোবর রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে মো. আবদুল্লাহ খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হাকিম হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা মো. মারুফ নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতার দুই আসামির তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মো. সাকলাইন হোসেনকে। পরে তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশি তৈরি একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। একইদিন জিয়াউর রহমান নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ চারজনের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আজিজ বলেন, গ্রেফতার আসামিদের বক্তব্য ও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে- কর্ণফুলী নদী পাড়ের বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের দুটি পক্ষ এতে অংশ নেয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ১০ থেকে ১২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এমআরএএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।