শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ না দিলে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে: ফারুক ই আজম
চট্টগ্রাম মহানগরের শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে অপরাধপ্রবণতা বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা ছিল শিক্ষাবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক প্রফেসর শায়েস্তা খানের। তার সেই ভাবনার কথা স্মরণ করে এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রফেসর শায়েস্তা খান স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থা।
ফারুক ই আজম বলেন, সরকার মেট্রোপলিটন ক্রীড়া সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে নতুন আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রফেসর শায়েস্তা খান ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্রনেতা ও জনপ্রিয় শিক্ষক। তার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে উপদেষ্টা বলেন, তাকে ভুলে যাওয়া সহজ নয়। এ ধরনের কালজয়ী মানুষ সমাজে সহজে উঠে আসে না।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ক্রীড়াঙ্গনে প্রফেসর শায়েস্তা খানের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, মানুষের মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার কাজের মাধ্যমে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ।
স্মৃতিচারণায় বক্তব্য দেন চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস ক্লাব সমিতির সভাপতি শাহীন আফতাবুর রেজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি, ডেইলি পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর এবং মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, শায়েস্তা খানের ব্যক্তিত্ব ও মেধা আজও স্মৃতিতে উজ্জ্বল।
প্রফেসর শায়েস্তা খানের ছেলে ডা. ইশতেয়াক আজিজ খান জানান, তার বাবা চট্টগ্রামে বয়সভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু করেছিলেন। খেলাধুলার সুযোগ না থাকায় শিশুরা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কন্যা ফারজানা জেসমিন খান জানান, তার বাবা চাইতেন ঘরের কাছেই খেলার মাঠ গড়ে উঠুক।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রফেসর শায়েস্তা খান ছিলেন সমাজের জন্য আলোকবর্তিকা। তার স্মরণে একটি স্মারকগ্রন্থ ও ডকুমেন্টারি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এমআরএএইচ/এএমএ/এএসএম