২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সংসদের নিরাপত্তা বেষ্টনী

প্রায় দেড় বছর অরক্ষিত থাকার পর সংসদের নিরাপত্তা বেষ্টনির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে এ কাজের জন্য সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও এখন তা সাড়ে ২৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে সংসদ ভবন এলাকার লোহার বেষ্টনী সরিয়ে প্রাচীর করার সিদ্ধান্ত হয়। কাজ পায় সাবেক এক প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রীর নিকটজনেরা।
ওই বছরের শেষে কাজ শুরুও হয়েছিল। এজন্য বেষ্টনী সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু পরিবেশবাদীদের আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশবাদীরা দাবি করেন, প্রাচীর দিয়ে বিশ্বের অন্যতম এই স্থাপত্য নিদর্শনকে আড়াল করলে এর স্থাপত্যমান নষ্ট হবে।
সংসদ সচিবালয় এরপর ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডাসহ কয়েকটি দেশের আইন সভা ভবনের নকশা যাচাই করে বেষ্টনী তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়াই ফুট উঁচু প্রাচীরের ওপর থাকবে ছয় ফুট উঁচু ইস্পাতের গ্রিল। কিন্তু মেট্রোরেলের নকশা না হওয়া পর্যন্ত ওই বেষ্টনীর কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি লুই কানের আসল নকশা সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ীও কাজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সংসদ সচিবালয় প্রায় একবছর চেষ্টা করেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে নকশা সংগ্রহ করতে পারেনি। আর এতদিন ধরেই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সংরক্ষিত এই সংসদ ভবন এলাকা।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকার পর সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে এতদিন সংসদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু কাজ আবার শুর হয়েছে। কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সংসদ ভবন এলাকার পরিধি ১৪ হাজার ৩৩৫ ফুট। এতে বেষ্টনী তৈরি করতে কম-বেশি এক বছর লাগতে পারে।
এইচএস/বিএ/আরআইপি