যৌন নিপীড়ন : শাস্তির ব্যবস্থা না হলে পরিণতি সুখকর হবে না

দেশের চলমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি বারংবার এই (যৌন নিপীড়ন) অপকর্ম সংঘটনে ভূমিকা পালন করছে বলে আমরা মনে করি। বিচারের পূর্বপ্রস্তুতির আয়োজন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পুলিশের কাছ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ আমাদের আশান্বিত করেনি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে এই রাষ্ট্রের পরিণতি সুখকর হবে না। কথাগুলো বলছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসিতে একদল সংঘবদ্ধ যৌনসন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে নারীদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ প্রশাসন দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১০ মে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের নৃশংস হামলা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এ পুলিশ প্রশাসন দোষীদের গ্রেফতারের চাইতে আন্দোলনকারীদের দমনেই বেশি মনোযোগী। লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কিন্তু তার রিপোর্ট এখনো দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, চলমান প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই সারাদেশে জেলা-থানা-স্থানীয় পর্যায়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রীতিলতা ব্রিগেড গঠন চলছে। গত ১৮ তারিখ থেকে আজ অবদি সারাদেশ থেকে ১০ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিও চলমান। আমরা আশা করি ১৪ তারিখের পূর্বেই ১০ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করতে সমর্থ হবো।
এ সময় আগামী ১৪ এপ্রিল টিএসসি রাজু ভাস্কর্য থেকে ১০ লক্ষ গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সংগৃহীত গণস্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বরাবর পদযাত্রা করার ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক আগামী ১৬ এপ্রিল সন্ত্রাস বিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যে নিপীড়ন বিরোধী কনসার্ট করার ঘোষণা দেয়া হয়।
এমএইচ/আরএস/আরআইপি