উৎসবমুখর মণ্ডপ আলোয় আলোয় ভরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

অসুর (অশুভ শক্তি) বধের প্রতিজ্ঞায় দুর্গোৎসবের মহানবমী তিথিতে দুর্গতিনাশিনী দেবীর আরাধনা করছেন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সড়কে থাকা ল্যাম্পপোস্টগুলোর আলোকসজ্জাই বলে দিচ্ছে সামনে পূজামণ্ডপ। জমকালো আয়োজন, বাহারি সাজে সেজেছে পুরো বনানী মাঠ। মণ্ডপে প্রবেশ করার আগে দীর্ঘ রাস্তায় বর্ণিল লাইট স্থাপন করা হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ পূজা অর্চনার আয়োজন চলছে ভেতরে। আর বাইরে উৎসবের সাজ পোশাকে তরুণ-তরুণীদের ভিড়। উৎসবমুখর মণ্ডপ আলোয় আলোয় ভরা।

সঙ্গী, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সবাই ঘুরে ঘুরে দেবীর চরণে অর্পণ করছেন পুষ্পাঞ্জলি। বড় আয়োজনে এখানে পূজামণ্ডপ বানিয়েছে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। প্রতিমা গড়ার ক্ষেত্রে দেবীর আসল রূপ তুলে ধরা হয়েছে এখানে। প্রতিদিন পূজা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি আয়োজন রয়েছে এই বনানী পূজা মণ্ডপে।

jagonews

প্রতিবারের মতো বর্ণিল আনন্দযজ্ঞে মেতে ওঠা ঢাকার পূজাগুলোর মধ্যে গুলশান-বনানীর পূজা নিয়ে মানুষের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ থাকে। পূজার পাশাপাশি নিরাপত্তায়ও দেয়া হয়েছে সমান গুরুত্ব। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপনের পাশাপাশি তল্লাশির মাধ্যম সবাইকে পূজা প্রাঙ্গণে-মাঠে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক অলক শাহা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খুব শান্তিপূর্ণ এবং জাকজমকভাবে পূজা পালন করছি। এখানে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। দর্শনার্থী-ভক্তবৃন্দরা আসছেন, পূজামণ্ডপ ঘুরছেন। আজ নবমী। আগামীকাল পূজার শেষদিন অর্থাৎ দশমীতে দেবীর দশমী বিহিত পূজা ও পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন। দশমীর দিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন করা হবে আশুলিয়া ঘাটে।

jagonews

এদিকে পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম ফরমান আলী জাগো নিউজকে বলেন, নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আমরা এখানে সার্বক্ষণিক আছি। পর্যাপ্ত পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে পূজা উদযাপন করতে পারছেন। এ ছাড়া পুরো এলাকাই সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।

এএস/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।