মসজিদে মুসল্লিদের জমায়েত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৩২ পিএম, ১২ মার্চ ২০২০

রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জমায়াতকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থান বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, সারাদেশে ছোট-বড় অসংখ্য মসজিদে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হয়। এ জমায়াতে অংশগ্রহণকারীরা করোনাভাইরাস বহনকারী কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হলে তা অগ্নিস্ফূলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এ কারণে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিদের জমায়াত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মসজিদগুলোতে গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে সামাজিকভাবে ধর্মীয় নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে মসজিদে মুসল্লিদের জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করার উপায় খুঁজছেন। এ ব্যাপারে সৌদি আরবের প্রধান দুটি মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে আগের তুলনায় মুসল্লি নিয়ন্ত্রণ এবং ইরানে মসজিদে জমায়েত নিষিদ্ধ হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরা হতে পারে।

এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ানে করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মসজিদে কাউকে নামাজ পড়তে না যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে মনঃপুত নাও হতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা চেনা কিংবা অপরিচিত কারও মাধ্যমে কোনো ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।