করোনা : স্কুল নয়, চট্টগ্রামে ‘আবাসিক হোটেলে’ হবে কোয়ারেন্টাইন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহজনক এমন রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ইতিপূর্বে দু’টি স্কুলকে প্রস্তুত করার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছে প্রশাসন। এবার তারা কোয়ারেন্টাইনের জন্য স্কুলের পরিবর্তে নগরের দু’টি আবাসিক হোটেলকে বেছে নিয়েছে।
সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানান জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, ‘এর আগে কোয়ারেন্টাইনের জন্য দু’টি স্কুলকে প্রস্তুত করার কথা বলা হয়েছিল। স্কুল দু’টি হলো- দক্ষিণ কাট্টলীর পি এইচ আমিন একাডেমি এবং চান্দগাঁওয়ের সিডিএ পাবলিক গার্লস স্কুল। কিন্তু বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রের সম্ভাবনা থাকায় এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আমরা নগরের দু’টি হোটেলকে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহারের চিন্তা ভাবনা করছি। হোটেল দু’টি হলো- স্টেশন রোডের মোটেল সৈকত ও চকবাজার এলাকার স্টার পার্ক।’
এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩৫০টি বেড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি আছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫০টি, চমেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০টি, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাহাড়ের উপরে আলাদা ব্লকে ১০০টি, রেলওয়ে হাসপাতালে ৩৭টি বেড প্রস্তুত আছে।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে হাসপাতালের ৩৭ শয্যাকে ৫০-এ উন্নীত করার সম্ভাবনার রয়েছে। এছাড়া রাউজানে ১০টি বেড, ফটিকছড়িতে ১০টি, আনোয়ারায় ১০টি, সীতাকুণ্ডে ১০টিসহ বাকি উপজেলাগুলোতে ৫টি কেরে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগরীতে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলোতেও আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী নেই, যদি একজনও ধরা পড়ে তবে এ সব ব্যবস্থা আরও স্ট্রং হয়ে যাবে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। কারণ আমাদের দু’টি বন্দর, একটি বিমানবন্দর ও অপরটি সমুদ্র বন্দর। দু’টি বন্দর দিয়েই সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সংক্রমণকারীকে ঠেকিয়ে দেয়া না যায়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।’
ইতালিফেরত প্রবাসীদের কারণে চট্টগ্রামে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আবু আজাদ/এফআর/এমকেএইচ