শতভাগ সতর্কতা মেনে খোলা থাকবে শিল্প কারখানা
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এসময় খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। এজন্য অবশ্যই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শতভাগ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প সচিব আব্দুল হালিম মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) জাগো নিউজকে জানান, সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের অফিস বন্ধ রাখার কথা বলেছে। তবে এখন পর্যন্ত খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়নি। এসব শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। তবে অবশ্যই করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শতভাগ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ বা ছাড় দেয়া যাবে না। সরকারের নতুন কোনো নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এটাই বলবৎ থাকবে।
গত সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব সরকারি-বেসরকারি ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭ থেকে ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবার জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।’
মঙ্গলবার এ ছুটির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে, প্রয়োজনে চালু থাকবে ওষুধ ও রফতানি শিল্প কারখানা।
আদেশে বলা হয়েছে, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
‘জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প ও রফতানি শিল্প কারখানা চালু রাখা যাবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।’
এদিকে করোনার বিস্তাররোধে কারখানাগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস- প্রশ্বাসে সমস্যা অর্থাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে। হ্যান্ড স্যনিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
কোনো কারণে কর্মীরা অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।
এসআই/এইচএ/এমএস