সৌদিতে আটকে পড়া অর্ধশতাধিক ওমরাহযাত্রী মহাবিপদে

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:১৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০

করোনার কারণে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মধ্যে আকাশপথের যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাওয়া অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক সেখানে আটকা পড়েছেন। তবে নির্ধারিত সময়ের বেশি সেখানে অবস্থান করায় তাদের অর্থ ফুরিয়ে গেছে। এতে দেশটিতে তারা মানবেতর দিন পার করছেন।

দেশের বেসরকারি মোট ১১টি ওমরাহ হজ এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি এয়ারলাইন্সযোগে ১৬-২৬ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে তারা ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যান। গত ১৪-২৪ মার্চের মধ্যে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সৌদি এয়ারলাইন্স (৫২ জন) ও কুয়েত এয়ারলাইন্স (একজন) যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় মোট ৫৩ জন দেশে ফিরে আসতে পারছেন না। বর্তমানে তারা মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও রিয়াদে অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, তাদের অনেকের অর্থ ফুরিয়ে গেছে। ওমরাহ প্যাকেজ বাবদ নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পরিশোধের পর সৌদি আরবে (মক্কা ও মদিনায়) নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন অবস্থান করার মতো অর্থ নিয়ে সেখানে গেছেন সবাই। হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত কিছুদিন থাকতে হচ্ছে বিধায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তাদের অনেকের কাছেই এ মুহূর্তে হোটেল ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও স্থানীয়ভাবে যাতায়াতের খরচও নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের ২২ জন, ভৈরব হজ ট্রাভেলসের একজন, সিলভার অ্যান্ড সেন্টার ট্রাভেলস এজেন্ট লিমিটেডের দুজন, এসমার্ট ট্রাভেলস লিমিটেডের চারজন, ইস্টার্ন লিঙ্ক ট্রাভেলসের সাতজন, ইস্টার্ন টিউরিজ অ্যান্ড ট্রাভেলসের একজন, এয়ার কনসার্নের একজন, শুভ্রা ট্রাভেলসের দুজন, মদিনা স্টারের দুজন, ট্রাভেলস এসমার্ট হলিডে লিমিটেডের পাঁচজন ও ইস্টার্ন ট্রাভেল এজেন্সির চারজন ওমরাহ পালনকারী যাত্রী সেখানে রয়েছেন।

গতকাল ২৪ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহিন স্বাক্ষরিত সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে উত্তরা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের ২২ জন ওমরাহ যাত্রীর ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় দেশে ফিরতে পারছে না উল্লেখ করে দেশে ফেরার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য সৌদি আরবে থাকার জন্য হোটেল ও বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৯০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ ভাইরাসে দেশটিতে দুজনের প্রাণ গেছে। এদিকে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশটিতে আংশিক কারফিউ জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মক্কা, মদিনা ও রিয়াদ থেকে কাউকে প্রবেশ ও বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

এমইউ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।