সত্য বলছি, চট্টগ্রামে এসেছে ‘করোনা টেস্ট কিট!’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২০

নানা নাটকীয়তা আর বারবার ঘোষণার এক সপ্তাহ পর চট্টগ্রামে পৌঁছেছে করোনা শনাক্তকরণ কিট। এর আগে স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষে ৪৮ ঘণ্টার ঘোষণা দেয়া হলেও তা যেন শেষ হচ্ছিল না। অপরদিকে গণমাধ্যমেও ছিল ভুল সংবাদ পরিবেশনের হিড়িক।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভোরে সীতাকুণ্ডের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পৌঁছায় করোনা শনাক্তকরণ কিট। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘একজন ল্যাব টেকনেশিয়ান ভোরে ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন। এখন আমরা আরও বেশিসংখ্যক রোগীকে পরীক্ষার আওতায় আনতে পারবো।’

বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট আমাদের হাতে পৌঁছেছে। এর আগে আমরা ফ্রান্স থেকে সংগ্রহ করা কিটে পরীক্ষা করছিলাম।’

কী পরিমাণ কিট পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হিসাব করা সম্ভব নয়, তবে আসা করছি যা পেয়েছি তাতে অন্তত একশ-দেড়শ রোগীর টেস্ট করা যাবে।’

জাগো নিউজকে বিআইটিআইডি পরিচালক মো. আবুল হাসান জানান, বিআইটিআইডি’র ফ্লু কর্নারে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ রোগী আসছেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কারো করোনা টেস্ট করা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৫ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে । এর মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আর একজনের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।’

প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ দুপুরে এক সভায় চট্টগ্রামে করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় গঠিত বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর জানান, চট্টগ্রামেই করোনা সংক্রমণ নির্ণয় করা হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক করোনা শনাক্তকরণ কিট পৌঁছাবে। এর পর আরও দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তকরণ কিট পৌঁছানোর কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। বুধবার (২৫ মার্চ) বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তকরণ কিট পৌঁছেছে মর্মে সংবাদও প্রকাশ করে। এ সংবাদে অনেকেই হাসপাতালে ভিড় জমায়।

কিন্তু জাগো নিউজের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৫ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তকরণ কোনো কিট পৌঁছায়নি। বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্রান্স থেকে সংগ্রহ করা কিটে আগের ১৫টি করোনা টেস্ট করা হয়।

সে সময় করোনা চিকিৎসার দায়িত্ব থাকা সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ জানিয়েছিলেন, করোনা পরীক্ষায় তিন সদস্যের একটি টিম ঢাকায় আইইডিসিআরে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার বিষয়ে ট্রেনিং সম্পন্ন করলেও কিট না আসায় সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা করতে পারছেন না।

আবু আজাদ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।