করোনার কথা লুকিয়ে সরকারের কী লাভ? প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা রোগ কিংবা এর মৃত্যুর সংবাদ লুকিয়ে সরকারের কী লাভ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার সংবাদমাধ্যমে আসছেন এবং করণীয় সম্পর্কে বলছেন, কীভাবে কী করতে হবে। কাজেই সরকার করোনাভাইরাস সম্পর্কে কোনো ভুল তথ্য দেবে না।
শনিবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এটা সঠিক আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত করতে চাই না। আতঙ্কিত করে লোকজনকে ঘরে ঢুকানো সম্ভব নয়। কীভাবে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, এটি ছড়িয়ে গেলে যে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে- এ বিষয়টি প্রতিনিয়ত জনগণকে জানানো হচ্ছে। প্রত্যেক দিন পত্রিকায় দেখবেন বড় বড় বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। স্টেটমেন্ট দেয়া হচ্ছে। যেখানে মস্ত করে লেখা আছে। তারপরও লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে এলে আমরা দুঃখিত হই। আমরা জনগণকে এই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে চাচ্ছি । কারণ এটি একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে যায়।
তিনি বলেন, সকলকেই নিয়মনীতি ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
এই সময় টকশো’র উপস্থাপিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান- আমাদের কাছে অনেক সিভিল সার্জন বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে জানতে চান অনেকেই সর্দি-কাশিতে মৃত্যুবরণ করছে । এই মৃত্যুগুলো আসলে সন্দেহের কারণ। সামান্য জ্বর-কাশিতে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। এটা আসলে খুব স্বাভাবিক ঘটনা কি-না -এই বিষয়টা আমি আপনার কাছে জানতে চাই।
এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আমাদের বাংলাদেশে বছরে স্বাভাবিক মৃত্যু ৯ লাখ হয় এবং প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার লোকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় এই বাংলাদেশ। কাজেই এই মৃত্যু তো সব জায়গায় হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন মৃত্যু হয় ৩০ থেকে ৪০ জনের। কাজেই সব কি করোনাভাইরাসে মৃত্যু?
মন্ত্রী বলেন, এখন একটি করানোভাইরাসের আতঙ্ক হয়ে গেছে। যেখানেই যে মৃত্যু ঘটে, যে কারণেই হোক মানুষ মনে করে যে করোনাভাইরাসে মারা গেল।
বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কারণে মারা যায়। কাজেই এই মৃত্যুগুলো অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও নয়। আমাদের সরকারি হাসপাতাল তো খোলা আছে। সরকারি হাসপাতাল তো বন্ধ হয়নি। সেখানে রোগীরা গেলে তো সেবা পাচ্ছে। এখন আমরা করোনা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপনাও করেছি। প্রতি জেলায় আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
স্বাভাবিক রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মনে করি না। অস্বাভাবিক মৃত্যু সেটাই হবে যেখানে কোনো চিকিৎসা পাওয়া গেল না। সেটাকে আমরা বিনা চিকিৎসায় ধরতে পারি। সেই ধরনের কেস সরকারি হাসপাতালে আশা করি হয়নি, আর হবেও না।
এইচএস/এনএফ/জেআইএম