জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের নায়িকা: ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৭ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বক্তব্য দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস/ছবি: পিআইডি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মেয়েদের ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’ বলে সম্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, তোমরা বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছো, সেটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এই ঐতিহাসিক ঘটনার নায়িকারা বাংলাদেশে যা ঘটিয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে অনেক অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। কেউ তোমাদের উদ্বুদ্ধ করেনি। তোমরা নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছো। এটা তোমাদের সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে গড়া এক বিপ্লব।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জুলাইয়ের কন্যারা আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেবো না’ শীর্ষক সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, চাকরিজীবী, পরিবারের যে যেখান থেকে পেরেছে সবাই বিপ্লবে যোগ দিয়েছে। সমানভাবে এগিয়ে এসেছে ও একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে।

jagonews24

এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়ব, এটা আমাদের শপথ।

আরও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হতাহতের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তোমরা যারা প্রাণ দিয়েছো, আহত হয়েছো, তোমাদের আমরা ভুলিনি।

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা পুরোনো বাংলাদেশ বদলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে ভূমিকা নিয়েছো সেটা পূরণ করতে হবে। শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। কাজেই এর পেছনে থাকতে হবে, এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন প্রজন্মের মেয়েদের কোনো ভুলপথে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমাদের মধ্যে যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সম্পূর্ণ নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। কেবল বাংলাদেশ নয়, নতুন এক পৃথিবী গড়ে তোলার মহাকর্মযজ্ঞে নিজেদের সম্পৃক্ত হতে পারবে। খবর: বাসস

জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।