চীন বাদে সব দেশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল
দেশের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা ৭ এপ্রিল থেকে বৃদ্ধি করে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে চীনের ফ্লাইটগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এ নিয়ে দুই দফা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
রোববার বেবিচকের জারি করা আদেশে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের (সিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এ নিষেধাজ্ঞা বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গগাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের (মোট ১৬টি) ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
একই সাথে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। তবে স্পেশাল কার্গো ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগে চারটি দেশের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল। এবার শুধুমাত্র চীনের ফ্লাইট এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এদিকে বেবিচকের আগের ঘোষণায় যুক্তরাজ্য, চীন, হংকংয়ের সঙ্গে যাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলো সরাসরি চলবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বর্তমানে চীন ছাড়া বাকি তিনটি রুট বন্ধের ঘোষণা দেয় এয়ারলাইন্সগুলো।
সর্বশেষ ২৮ মার্চ থেকে হংকংয়ে ক্যাথে-প্যাসিফিকের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ৩০ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে। এই দুটি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করত।
লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুট বন্ধের মধ্য দিয়ে বিমানের ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ১৭টি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ২১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। করোনাভাইরাসের কারণে ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে বেবিচক।
এআর/বিএ/এমএস