চট্টগ্রামে সুপারশপ লকডাউন, ৭৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২০

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত বৃদ্ধের ছেলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় নগরের খুলশীতে ওই যুবকের কর্মস্থল ‘দি বাস্কেট' নামের একটি সুপারশপ লকডাউন করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া ওই সুপারশপে কর্মরত মালিক, কমর্চারীসহ ৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভোইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলের নমুনা পরীক্ষা করে তা পজেটিভ এসেছে। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক একটি ‘দি বাস্কেট’ সুপারশপে কাজ করতেন। স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যেই ওই সুপারশপ লকডাউন করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন ৭৪ জনের একটি তালিকা সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (সিটিএসবি) থেকে আমরা পেয়েছি, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।’

ভাটিয়ারীতে করোনা আতঙ্ক

করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় যে ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত তিনি চাকরি করতেন নগরীর খুলশীতে দি বাস্কেট নামে একটি সুপার শপে। আর এই সুপারশপের মালিকের বাড়ি ভাটিয়ারীর বিএমএ গেটে। ফলে রাতে দ্বিতীয় ব্যক্তি আক্রান্তের খবরে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন জানান, দি বাস্কেটের তিন পরিচালক একই পরিবারের। তারা ব্যবসা পরিচালনার পর বিএমএ গেটের বাড়িতে অবস্থান করেন। তারা এলাকার মসজিদে নামাজ আদায়সহ নানাভাবে স্থানীয়দের সংস্পর্শে আসেন। আর ওই প্রতিষ্ঠানে ভাটিয়ারীর কয়েকজন যুবকও চাকরি করেন। এসব কারণে ওই এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলছিলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মেয়ের স্বামী ও মেয়ের শাশুড়ি ওমরা করে ফেরেন গত ১২ মার্চ। এর ঠিক ৯ দিনের মাথায় চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এ ঘটনার পরপরই আমরা তার পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিই। বৃদ্ধের ওই বাড়িতে তিনজন থাকতেন। এর মধ্যে তার ছেলের শরীরে করোনা ধরা পড়ল। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই জনে।’

এর আগে শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনে করোনা আক্রান্ত এই পরিবারের বাড়ি, আশপাশের আরও পাঁচটি বাড়ি, ওমরাফেরত মেয়ের বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়ি ও তাদের দুই নিকটাত্মীয়ের বাড়িসহ মোট ১৩ বাড়ি লকডাউন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া করোনাভাইরাস ধরা পড়ার আগে ওই ব্যক্তি নগরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ায় ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ২৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।