আরও ৬ কোটি টাকা ও সাড়ে ৮ হাজার টন চাল বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য আরও ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং ৮ হাজার ৪৫০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বাকি এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা শিশুখাদ্য কিনতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুকূলে এই বরাদ্দ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশিসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করে বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে এ সব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

শিশুখাদ্য ক্রয়ের শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মনীতি যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্ক ভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ চলমান কাজে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এছাড়া শিশু ৎখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুরির ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

এর আগে তিন দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা ও ৪৮ হাজার ১১৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরে আরও দুই দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এ সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

কোন জেলায় কত বরাদ্দ দেখতে ক্লিক করুন

আরএমএম/এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।