আইইডিসিআরে নমুনা কম শনাক্ত বেশি, বাইরে নমুনা বেশি শনাক্ত কম
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ ৮ এপ্রিল প্রথম রোগী শনাক্তের এক মাস হলো। শুরু থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজধানীসহ সারাদেশে ৪ হাজার ২৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
মোট নমুনা পরীক্ষার মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) ২ হাজার ২৭১টি ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে ২ হাজার ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
আগে শুধু আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ১৩টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
সর্বশেষ প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার (২৪ ঘণ্টায়) সারাদেশে মোট ৬৭৯টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫৭টি ও অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে ৫২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৪১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। আইইডিসিআরের ১৫৭টি নমুনায় ৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। আর ঢাকার বাইরে ৫২২টি নমুনায় ১১ জন রোগী শনাক্ত হন।
দেশে এখন পর্যন্ত (৭ এপ্রিল) মোট ১৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১৪ জন ও মহিলা ৫০ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা বেশি।
মোট রোগীদের মধ্যে আইডিসিএল ল্যাবরেটরিতে ১২৩ জন ও অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে ৪১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৮মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়। ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৪ দিনে যথাক্রমে ৯, ১৮, ৩৫ ও ৪১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
এমইউ/জেডএ/পিআর