দোহার-নবাবগঞ্জ আংশিক লকডাউন
আসাদুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণ
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার অংশবিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১) সালমান এফ রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার আলাপ করে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মানুষের স্বার্থে সমন্বিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জ উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। লকডাউনের আওতায় দোহার ও নবাবগঞ্জের মধ্যে সড়ক যোগাযোগও অনেকটা বিচ্ছিন্ন থাকবে।
ওসি সাজ্জাদ আরও বলেন, ঢাকা জেলার এসপির নির্দেশক্রমে কাল বৃহস্পতিবার থেকে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে পুলিশ। দোহারের নয়টি ছোট ছোট সড়ক দিয়ে যান চলাচল একেবারে বন্ধ থাকবে। শুধু ঢাকা-দোহার সড়কের ফুলতলা, পালামগঞ্জ ও নিকড়া সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। এসব স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে এবং থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে চেক করে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিটি সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল সীমিত করা হবে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, যেহেতু রাজধানী ঢাকা ও কেরানীগঞ্জে করোনা রোগী বাড়ছে, সেহেতু দোহার ও নবাবগঞ্জের মানুষকে নিরাপদে রাখতে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান। পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টের মাধ্যমে যান ও মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম সালাহউদ্দিন মনজু বলেন, পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাতেও করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সে কারণে বাইরের কেউ যেন কাল থেকে নবাবগঞ্জে অবাধে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হবে। একই সাথে পণ্যবাহী যান ছাড়া সকল ধরনের যানবাহন চলাচল থাকবে সীমিত।
এদিকে করোনা আতঙ্কে দোহার ও নবাবগগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে আটকে অনেকটা লকডাউন করে দিয়েছে এলাকাবাসী। প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না কোনো যানবাহন। অপরিচিত লোক দেখলে নেয়া হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা।
এইচএ/এমকেএইচ