এন৯৫ মাস্ক নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) রয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছেন এন৯৫ মাস্ক নিয়ে। এ এন৯৫ মাস্ক ছাড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্য কোনো সরঞ্জামের অভাব নেই।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাসবিষয়ক সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সরাসরি অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।

তিনি বলেন, ‘যে জিনিসটা নিয়ে আমাদের চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি চিন্তা করছেন, সেটা হচ্ছে এন৯৫ মাস্ক। বাকি জিনিসগুলো নিয়ে আসলে কোনো সমস্যা নেই। এন৯৫ মাস্ক সংগ্রহের জন্য শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেখান থেকে যতখানি পারি আমরা সংগ্রহ করছি। যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি সেখানে সেটা বিতরণ করে যাচ্ছি।’

ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘এন৯৫ মাস্ক এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে করে বাতাসে থাকা ৯৫ ভাগ কণাকে ফিল্টার করতে সক্ষম। এগুলো সাধারণ সার্জিক্যাল বা মেডিকেল মাস্কের চেয়ে ভালো। এটিও বারবার পরিবর্তন করতে হয়। এন৯৫ মাস্ক তখনই প্রয়োজন হয়, যখন কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন বা তার পরিচর্যা করেন।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক জানান, গতকালের তুলনায় আজকে মজুত ৭৯ হাজার ১৪০টি পিপিই বেড়েছে। বর্তমান মজুতের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭২টি। যখনই যেখানে পিপিইর প্রয়োজন হচ্ছে, সেখানেই পাঠানো হচ্ছে। আর পরীক্ষার কিট ৯২ হাজার সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুত আছে ৭১ হাজার।’

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন ডেডিকেটেড হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা, জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, উপজেলাসহ মোট ৩ হাজার ৮৫ জন সরকারি চিকিৎসক, ১ হাজার ৫৪ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করছি। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও নার্সদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ৯৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৪ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ছয়জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

পিডি/এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।