মহামারির কারণে বৈশাখের লোকসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে পহেলা বৈশাখের বহিরাঙ্গণের সব অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। কারণ ইতোমধ্যে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও ভয়াল থাবা বসাতে শুরু করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোপূর্বে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও জনসমাগম এড়িয়ে রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানও আমরা একইভাবে উদযাপন করব।
তিনি বলেন, আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করব। কবিগুরুর কালজয়ী গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা’ গেয়ে আহ্বান করব নতুন বছরকে। অতীতের সব জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আমরা সামনে দৃপ্ত-পায়ে এগিয়ে যাব, গড়ব আলোকজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় তাই বলতে চাই, ‘মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়/আড়ালে তার সূর্য হাসে, হারা শশীর হারা হাসি/অন্ধকারেই ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশে এবং প্রবাসে বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করেন। রাজধানীতে রমনা পার্ক, চারুকলা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নগরীর নানা স্থান মানুষের ভিড়ে মুখরিত থাকে এ দিনটি। গ্রামীণ মেলা, হালখাতাসহ নানা অনুষ্ঠানে গোটা দেশ মেতে ওঠে।
এবার সবাইকে অনুরোধ করব কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজসহ নানা মৌসুমি ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।
এইউএ/এমএফ/জেআইএম