ভিডিও দেখে নিজেই ডিসইনফেকশন গেট বানালেন পুলিশ কর্মকর্তা
দিনে অগণিত মানুষ রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ঢুকছে বের হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে আগতদের প্রত্যেকের শরীরে ঢোকার ও বের হওয়ার সময় একবার করে ডিসইনফেকট্যান্ট স্প্রে ছেটানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা রোস্টার ভিত্তিতে আগতদের শরীরে ছিটিয়ে দিতেন এই স্প্রে। প্রবেশের সংখ্যা বাড়তে থাকায় একসময় অনেক জনবলের প্রয়োজন দেখা দেয়।
তখনই এই পদ্ধতিকে আধুনিকায়নের বিষয়ে ভাবলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ইউটিউবে তুরস্কের অটো ডিসইনফেকশন গেট তৈরির ভিডিও দেখে নিজেই শুরু করলেন তৈরির কাজ। পেলেন সফলতাও। রোববার (১২ এপ্রিল) থেকে পুলিশ হাসপাতালে আগতদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জীবাণুমুক্ত হচ্ছে তার বানানো গেটের মাধ্যমে।
মহৎ ও অত্যাধুনিক এই উদ্যোগটি নিয়েছেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম সানতু।
উদ্যোগের প্রেরণা কোথা থেকে পেলেন? জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমি দেখতাম ২-৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা সবসময় ম্যানুয়ালি স্প্রে করতে থাকতেন। একসময় দর্শনার্থী বাড়ার কারণে অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন হলো। আমি ভাবলাম আমরা একটি অটোম্যাটেড গেট তৈরি করতে পারি কি-না। আমি ইউটিউবে তুরস্কের একটি ডিসইনফেকশন গেট তৈরির ভিডিও দেখি। সেই গেট তৈরি ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এই হাসপাতালে নির্মাণ কাজ চলছে। আমি ভাবছিলাম এখানকার কোনো জিনিসপত্র কাজে লাগিয়ে গেটটি তৈরি করা যায় কি-না। তখনই আমি এটি তৈরি শুরু করি।
গেটটি তৈরির কৌশল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসইনফেকশন গেট তৈরির জন্য খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ১০-১২ হাজার টাকা। এরজন্য একটি পাম্পের দরকার হয়েছে। আর একটি পানির ট্যাংক। পানির ট্যাংকে পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ও রসায়নবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী নানা অনুপাতে জীবাণুনাশক দেয়া হয়। রোববার থেকে হাসপাতালে আগত সবাইকে মুহূর্তেই জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন সাইফুল। কর্মজীবনে তিনি র্যাব-এপিবিএনসহ বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করেছেন। তার দৃশ্যমান ও কার্যকর এই উদ্যোগের জন্য সাইফুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন।
এআর/এইচএ/জেআইএম