নবাবগঞ্জে তাবলীগফেরত আরও একজন করোনা শনাক্ত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চিল্লাফেরতে ৪৬ বছর বয়সী তাবলীগ জামায়াতের আরও একব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এই উপজেলায় চিল্লাফেরত দুইজনসহ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিনজনে।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি উপজেলার বকসনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ডা. অনুপ বলেন, ওই ব্যক্তি চিল্লায় গিয়ে ৪০ দিন সফরে থাকার পর এ মাসের ১০ তারিখে বাড়ি ফিরেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে আমরা সংবাদ পেয়ে ১১ তারিখ (শনিবার) তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠাই। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ফলাফল পেয়ে আমরা তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হবে।
আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। আক্রান্তের পরিবারের স্বজনদেরসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে অবশ্যই নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এলাকাটি লকডাউন করা হবে কিনা সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে চিল্লা থেকে ফেরা উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তাশুল্যা গ্রামের ৬৫ বয়সী এক ব্যক্তি সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো জানিয়ে ডা. অনুপ বলেন, ৩১ মার্চ নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাহ্রা ইউনিয়নে ৪৭ বছর বয়সী এক সৌদি প্রবাসী প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আইইডিসিআরের একটি টিম এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে সেদিনই তাকে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
সেখানে টানা বারোদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার পর গতকাল রোববার দুপুরে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। পুনরায় সংক্রমণের শঙ্কায় তাকে আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান সুমন/এমআরএম