কারওয়ান বাজারে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ
নিত্যপণ্য কেনার জন্য কাঁচাবাজার খোলা রাখা হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব একদমই মানা হচ্ছে না। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে তার কোনো দেখা নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মার্কেট কৃর্তপক্ষ মাইকিং করলেও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ তা মানছেন না। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।
কারওয়ান বাজারের সাজিদ গেট কিচেন মার্কেটে দেখা যায় কোনো প্রকার সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ক্রেতারা অনায়াসে প্রবেশ করছেন এবং বের হচ্ছেন। বিক্রেতারাও সেটা মানছেন না। কেউ কেউ মাস্ক গ্লাভস পড়লেও, মাস্ক ছাড়াও কয়েকজনকে দেখা যায় সেখানে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আনোয়ারের দোকান বন্ধ, তাই তিনি ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন তার মহল্লায়। সেজন্য সবজি কিনতে এসেছেন কারওয়ান বাজারে।
সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব সম্পর্কে মো. আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, এখানে তো কিছুই মানা হচ্ছে না। একটার গায়ে আরেকটা লেগে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন ক্রেতা বলেন, এখানে সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব কেউই মানছে না।
পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ক্রেতা বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে এখানে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি মানা হচ্ছে না।
কারওয়ান বাজারের মোহাম্মাদ আলী নামে একজন বিক্রেতা বলেন, শারীরিক-সামাজিক দূরত্বের ডিসিপ্লিনটা এখানে এখন নেই। কারণ রোজা সামনে, মানুষ যে যার মতো বাজার করতে এসেছে। দোকানদাররা দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করলেও পাবলিক তা মানছে না।
দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসন বলতে মার্কেটের লোকজন মাইকিং করে বলেছে দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু পাবলিক সেটা মানছে না।
রফিক নামের এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, এখানে শারীরিক-সামাজিক দূরত্ব নেই। পাবলিক এটা মানতেছে না। সামনে রোজা মানুষ বাজার করতেছে। কেউ মানামানি করতেছে না।
কেএইচ/এমএফ/জেআইএম