রেমিট্যান্সযোদ্ধা রাসেল-নোবেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী মো. রাসেল মাহমুদ ও নোবেল মাহমুদ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হলেও তাদের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরদের কারণে এখনও বহু নিরপরাধ মানুষ কারাগারে বন্দি।

তিনি বলেন, গত ২৮ মে মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসান আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হত্যার শিকার হন। ঘটনার সঙ্গে রেমিট্যাসযোদ্ধা রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদ ও তার পরিবার কোনোভাবেই জড়িত নয়। পতিত সরকারের জেলা নেতৃত্ব ও সংসদ সদস্যদের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলক তাদের হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন কাঠামোতে এখনও ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে। তারা খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। সে কারণেই রাসেল ও নোবেলকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা যেন খুনিদের আড়াল করতে না পারে। প্রকৃত খুনিদের বিচার আপনাদের করতেই হবে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলার আসামি নোবেল মাহমুদকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেয়। তাদের গ্রেফতারের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা মামলার আসামি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, পতিত সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানদের আধ্যিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও তাদের সন্ত্রাসী এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় রাসেল মাহমুদ, তার ভাই নোবেল মাহমুদ এবং বাবা হাবিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করা হয়।

তিনি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদসহ পুরো পরিবার ও নাবালিকা সন্তানদের ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।

জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী মনিরুজ্জামান মনি, জাতীয় জনতা ফোরামের চেয়ারম্যান মো. অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, কৃষক নেতা শফিকুল আলম শাহীন প্রমুখ।

এনএস/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।