এনজিওর জন্যও প্রণোদনা কর্মসূচি প্রয়োজন : এডাব
মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে এনজিওগুলো তাদের সাধ্য ও সামর্থ্য দিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করে এমন বিপুল সংখ্যক এনজিও কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করছে; যারা ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নয়। তাদের জন্যও বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচি প্রয়োজন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয়কারী সংগঠন ’এডাব’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডাবের সদস্য সংস্থাগুলো বরাবরের মতো এই দুর্যোগেও সরকারের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব অর্থায়নে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কাজ করছে। এনজিগুলো তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ, বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক স্প্রে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বিতরণসহ কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রতিদিনই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে।
এ ছাড়া ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আর্থিক ও সামগ্রী সহায়তা করে যাচ্ছে। বর্তমানে দাতা দেশগুলোর অবস্থাও করোনার কারণে নাজুক, তাই এক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তাও লক্ষণীয় নয়। অন্য দিকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত এনজিওদের ঋণ কার্যত্রমও বন্ধ তাই তারাও তহবিল সংকটে ভুগছে।
এডাব মনে করে এই দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সহায়তা ও প্রণোদনা সহযোগিতা মাঠ পর্যায়ে দরিদ্রদের মাঝে পৌঁছে দিতে এনজিওগুলো একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং এনজিওগুলোর সেই মনোবৃত্তি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীও রয়েছে।
এফএইচএস/এনএফ/এমকেএইচ