পুরোপুরি লকডাউনে ৪৩ জেলা, আংশিক ১৭
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ৪৩ জেলা পুরোপুরি লকডাউন করেছে সরকার। এছাড়া ১৭ জেলায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ জেলা লকডাউন হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১০টি জেলা লকডাউন করা হয়েছে। সর্বনিম্ন তিন জেলায় লকডাউন হয়েছে খুলনা বিভাগে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগের ১০ জেলা হলো- গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল ও মুন্সিগঞ্জ।
চট্টগ্রাম বিভাগে- কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ময়মনসিংহ বিভাগে- ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর; রাজশাহী বিভাগে- রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও বগুড়া।
রংপুর বিভাগে- রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়; খুলনা বিভাগে- যশোর, নড়াইল ও চুয়াডাঙ্গা; বরিশাল বিভাগে- বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর; সিলেট বিভাগ- সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পুরোপুরি লকডাউন চলছে।
অপরদিকে আংশিকভাবে লকডাউন চলা জেলাগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের ঢাকা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ; চট্টগ্রাম বিভাগে- চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও ফেনী; রাজশাহী বিভাগে- পাবনা ও সিরাজগঞ্জ; রংপুর বিভাগে- কুড়িগ্রাম; খুলনা বিভাগে- খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর ও নড়াইল; বরিশাল বিভাগে- ভোলা ও ঝালকাঠি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সীমিত করা হয়েছে মানুষের চলাচল। জরুরি পণ্য ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া যেসব এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব বা আক্রান্ত বেড়েছে সেসব এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬৪১ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ১০৩ জন।
এমইউ/এফআর/এমএস