করোনা আক্রান্ত ও লক্ষণ নিয়ে মারা গেছে ৩৩ শিশু : বিএসএএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মে ২০২০

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বা করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ৩৩ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশের সদস্য বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ)। এজন্য করোনা আক্রান্ত শিশুর সেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সোমবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সই করা এক বিবৃতিতে শিশুমৃত্যুর তথ্য তুলে ধরে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিএসএএফের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৯ থেকে ৩০ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৫২ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ আছে- এমন শিশুর সংখ্যা ছিল ৮৩ জন। করোনার লক্ষণ নিয়ে এ সময় মৃত্যু হয়েছে ২৭ শিশুর। অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে মোট ৩৩ জন শিশু।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত শিশুদের মধ্যে সর্বনিম্ন চার মাস বয়সী শিশুও ছিল। বর্তমানে আরও ২৪ শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। শিশুদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি কম-শুরুতে এমন ধারণা করা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন দেখা যাচ্ছে।

দ্রত পরিবর্তনশীল এই মহামারির সময়ে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বিবেচনা করে সরকার ও অন্যান্য সংগঠনের কাছে চারটি আহ্বান জানিয়েছে চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ। এগুলো হলো-

১. রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অতিসত্ত্বর আক্রান্ত শিশুদের বয়সভিত্তিক ও লিঙ্গভিত্তিক তথ্য উপাত্ত প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেন সবাই সচেতন হতে পারে এবং আক্রান্ত শিশু ও তার পরিবারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনও কাজ করতে পারে।

২. করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হাসপাতালে পৃথক ও শিশু উপযোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা প্রচার করা, যেন সকল শিশু কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া সেবা গ্রহণ করতে পারে।

৩. আক্রান্ত শিশুর যথাযথ আইসোলেশন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সময়ে শিশু এবং তার পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাপমুক্ত রাখতে সামাজিক সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বেসরকারি সংগঠনকেও এই বিষয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানানো।

৪. শিশুকে করোনাকমুক্ত রাখতে বা আক্রান্তের ঝুকিঁ কমাতে শিশু এবং অভিভাবকদের সচেতনতামূলক পরামর্শগুলো আরও গুরুত্ব দিয়ে প্রচার অব্যাহত রাখা।

এমএএস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।