ঈদে শপিংমল বন্ধ থাকবে কি-না, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেবে সরকার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশব্যাপী চলমান লকডাউন খোলার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দেবে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। একই সাথে ঈদে শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে কি-না, সে ব্যাপারেও কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে। দেশের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সভায় কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি, চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন, মা ও শিশুদের আলাদা চিকিৎসা সেবা বজায় রাখা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বয় বৃদ্ধি করাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন।
সভায় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ নন-কোভিড রোগীদের যেন ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দেন। নন-কোভিড হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, টেস্টিংয়ে বেশি সময় নষ্ট না করার পরামর্শও দেন তিনি। ডা. শহীদুল্লাহ জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম টেস্টিংয়ে ফলাফল নেগেটিভ এলে তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করতে সময়ক্ষেপণ হয় এবং বেড অকুপেশন (রোগী ভর্তি) থাকে।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গত ১৮ এপ্রিল এ টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।
ব্রিফিং শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিজনকে একসেট করে পিপিই দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার (৪ মে) সরকারি এক আদেশে চলমান ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ওই আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে খুলবে। তবে তা বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
এমইউ/এইচএ/পিআর