রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল মুনতাসীর মামুনের
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। গতকাল (৫ মে) রাতে হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকরা তাকে অক্সিজেন দেন। স্বল্পসময়ের মধ্যে তিনি অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন।
বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন। স্বাভাবিক খাবার-দাবারও গ্রহণ করছেন। ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছেন।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু আজ (৬ মে) বেলা সোয়া ১১টায় এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রবীণ হলেও তার হৃদরোগজনিত সামান্য সমস্যা ছাড়া অন্য কোনো বার্ধক্যকালীন রোগ-ব্যাধি নেই।
মুনতাসীর মামুনকে কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বেশ কয়েকদিন আগে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এ ধরনের পরীক্ষায় অনেক সময় পজিটিভ হলেও ফলস নেগেটিভ আসে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের ধারণা তিনি তখন থেকেই করোনায় আক্রান্ত। সেই হিসেবে বোর্ডের সদস্যদের পারস্পরিক আলোচনাক্রমে আগামী দু-একদিনের মধ্যে আরেকবার তার নমুনা পরীক্ষা করা হতে পারে। ওই পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে এখনও নমুনা পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।
মুনতাসীর মামুনকে দুদিন আগে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে ৫ মে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম নবী ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার রুবিনা ইয়াসমিন, নাক-কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার মনিলাল আইচ লিটু, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার আহসানুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার সালাউদ্দিন উলুব্বী, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মো. মাহবুবুর রহমান এবং অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
এমইউ/জেডএ/পিআর