ঠেলাগাড়ি-ভ্যানচালক-নাপিত-শ্রমিকের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী থেকে শুরু করে ঠেলাগাড়ি, ভ্যানচালক, নরসুন্দর, শ্রমিক, ছাত্রছাত্রী-সবাই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এর আগে বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক উপকারভোগীর কথা হয়েছে। কিন্তু ঠেলাগাড়ি, ভ্যানচালক, নরসুন্দর, শ্রমিকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সম্ভবত এই প্রথম।
একজন ঠেলাগাড়ি চালক একজন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন-এটা অনেকেই ভাবেননি। যেসব ঠেলাগাড়ি, ভ্যানচালক, নরসুন্দর, শ্রমিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন তারা খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে ও তার সঙ্গে কথা বলতে পেরে তারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ ও ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির টাকা প্রেরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপকারভোগী হিসেবে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনের পর সংযোগ দেয়া হয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে। দীপু মনি তার বক্তব্যের শুরুতে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনি কাজ করছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার কারণেই আপনার পদক্ষেপেই শিক্ষার আজ উন্নতি হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
শিক্ষামন্ত্রীর পর বরগুনার একজন উপকারভোগী শ্রমিক শানু খন্দকার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কাজকর্ম নেই। এ সময়ে আপনার দেয়া আড়াই হাজার টাকা পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক।’
এরপর ছাত্রী শিরিন আক্তার বলে, ‘আপনার দেয়া টাকাটা পেয়েছি। আমার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এই টাকা কাজে লাগবে। আল্লাহ আপনাকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুন।’
শরীয়তপুরের একজন ভ্যানচালক আফজাল হোসেন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাকে যে টাকা দিয়েছেন এই টাকা পেয়ে আমি খুবই খুশি। আল্লাহ যেন আপনার ভালো করে।’
আফজাল হোসেনের কথা শেষ হলে সংযোগ দেয়া হয় ছাত্র মোতালেবকে। মোতালেব বলে, ‘আমি অনেক খুশি আপনার সৃষ্ট ফান্ড থেকে টাকা পেয়ে। এখান থেকে আপনি যে টাকা দিয়েছেন সে টাকা আমার কাজে লাগবে।’
সুনামগঞ্জের একজন ঠেলাগাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় ঠেলাগাড়ি চালক সীতেশ চন্দ্র দের। কথার শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নমস্কার জানান এবং বলেন, ‘আমার সংসারে তিন মেয়ে ও আমরা দুজন মিলে পাঁচজন। আপনার দেয়া এই টাকা আমি পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে সংসার চালাব।’
একই জেলার ছাত্র মোসাদ্দেক উর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আপনার দেয়া চার হাজার ৯৯০ টাকা (বৃত্তির) পেয়েছি। এই টাকা আমার পড়াশোনায় খুব উপকার হবে। এজন্য সে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়।’
লালমনিরহাটের নরসুন্দর মো. আব্দুল মালেক টাকা পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘এই সময় কোনো কাজকর্ম নেই। এই টাকাটা আমার খুব উপকারে আসবে। আমি খুব খুশি। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।’
তার কথা শেষে ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা বলে, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত এবং উৎসাহিত। আপনি আমাকে যে টাকা (বৃত্তি) দিয়েছেন, সেই টাকা আমার কৃষক বাবার জন্য খুব উপকারে আসবে।’
এফএইচএস/এসআর/এমএস