কক্সবাজারে করোনা রোগীদের বিশেষ সেন্টার চালু
কক্সবাজারে শরণার্থী ও স্থানীয় কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য দুইটি সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (এসএআরআই আইটিসি) চালু হয়েছে।
এর একটি কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পে ও অপরটি উখিয়ায় অবস্থিত। প্রায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই কেন্দ্র দুইটিতে কোভিড-১৯ এর গুরুতর রোগীদের সেবা দেয়া হবে। এতে চিকিৎসা পাবে শরণার্থী ও স্থানীয় সবাই।
অংশীদার সংস্থা ফুড ফর দ্য হাংরি, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল, ব্র্যাক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকার এটি চালু করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদারের নেতৃত্বে এ দু’টি সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
গত ১৮ মে প্রথম এসএআরআই আইটিসি অনলাইনে উদ্বোধন করার সময় মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই মানবিক কার্যক্রমের শুরু থেকেই ইউএনএইচসিআর বাকিদের জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ মে) উখিয়ায় ১৪৪ শয্যার দ্বিতীয় এসএআরআই আইটিসি উদ্বোধনকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ইউএনএইচসিআরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইউএনএইচসিআর-এর তৈরি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে শরণার্থী ও স্থানীয় কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া হবে।’
ইউএনএইচসিআর-এর সিনিয়র অপারেশনস ম্যানেজার হিনাকো টোকি বলেন, ‘এখন ক্যাম্পের ভেতরের ও বাইরের রোগীদের আইসোলেশন করে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে, যাতে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। গুরুতর রোগীদের আইসোলেশন সেন্টারে রাখার কারণে তাদের পরিবার ও এলাকা কম ঝুঁকিতে থাকবে। এটি আমাদের সবার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অর্জন।’
এই দুইটি এসএআরআই আইটিসি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার বৃহত্তর মানবিক প্রয়াসের একটি অংশ। এর আরেকটি উদ্দেশ্য এই রোগের গুরুতর রোগীদের মেডিকেল চাহিদা নিশ্চিত করা। পুরো জেলায় শরণার্থী ও স্থানীয়দের জন্য ১২টি এসএআরআই আইটিসি করা হবে। যেখানে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা হবে ১ হাজার ৯০০টি।
কক্সবাজার জেলার সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শরণার্থী ক্যাম্পের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্টসহ (পিপিই) আরও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে ১০টি আইসিইউ বেড ও আটটি হাই ডিপেনডেন্সি বেড। শীঘ্রই শেষ হতে যাওয়া এই ইউনিটে জনবলও দেবে ইউএনএইচসিআর, যাদের কাজ হবে গুরুতর রোগীদের সেবা দান।
জেপি/এমএফ/এমকেএইচ