রংপুরে ২৩ হাজার পরিবারের পাশে বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ২২ মে ২০২০

 

করোনায় কর্মহীন ও অসহায় পীরগাছা-কাউনিয়ার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পীরগাছা-কাউনিয়া (রংপুর-৪) আসনের সংসদ সদস্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পীরগাছা-কাউনিয়া উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ২৩ হাজার পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২২ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকারি বরাদ্দ চাল ছাড়াও টিপু মুনশি নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

'এ ছাড়া ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার দরিদ্র মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় এসেছেন। এর ফলে মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বহুলাংশে লাঘব হবে। সুবিধাভোগীদের মধ্যে রয়েছে- কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, হস্তশিল্পের, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।'

এতে আরও জানানো হয়, 'ইতোমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ৩৯,৬০,০০০ টাকা মূল্যের ১ লাখ ১০ হাজার কেজি চাল, ১১,০০,০০০ টাকা মূল্যের ৪৪ হাজার কেজি আটা, ১৩,২০,০০০ টাকা মূল্যের ৬৬ হাজার কেজি আলু, ১৮,৭০, ০০০ টাকা মূল্যের ২২ হাজার লিটার তেল, ৩৫,২০,০০০ টাকা মুল্যের ৪৪ হাজার কেজি ডাল, ২,৮৬,০০০ টাকা মূল্যের ১১,০০০ কেজি লবণ, ২,২০,০০০ টাকা মূল্যের ২২ হাজার পিস সাবান বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।'

এলাকার সুবিধাভোগী মানুষ জানান, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশির মতো জনদরদি মানুষ পেয়ে নিজেদের খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। যেকোনো বিপদ-আপদে আমরা টিপু মুনশিকে পাশে পাই। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের অভিভাবক। সরকারি ত্রাণের চাল ছাড়াও টিপু মুনশি নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় পরিবারে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। সাহায্য সহযোগিতা যেভাবে চলমান রয়েছে, তাতে করে এ এলাকার মানুষের খাদ্য ও মানবিক সমস্যা হবে না।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।