সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে হবে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন
করোনা-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বিনিয়োগ, সেবার পরিসর ও মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ।
শুক্রবার (২২ মে) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
এ বিষয়ে সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘করোনার জন্য আমাদের হাসপাতালগুলোর দুরবস্থা যাচ্ছে। (তবে) অনেক দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি বিনিয়োগের জন্য। তা (যোগাযোগ) আরও বাড়ানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি ওরা (দাতা ও উন্নয়ন সহযোগী) কিছু সাপোর্ট দেবে। তবে আমরা কীভাবে জনসাধারণকে সেবা দিতে পারি, সেবা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’
পিপিপি কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব বা পিপিপি উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে কিছু কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। তার মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম রয়েছে। সেগুলো হলো-পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণ, খাতভিত্তিক কর্মসূচি প্রণয়ন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি পার্টনারশিপের ভিত্তিতে প্রকল্প সংখ্যা ও বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়ন ও সমন্বয়ে গুরুত্ব, সরকারের মধ্যে পিপিপি বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পিপিপি প্রকল্পের জন্য বিশেষ প্রণোদনা, পিপিপি আইন-২০১৫ ও প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহীত সময় কমানো, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৩০ শতাংশ প্রকল্প পিপিপিতে গ্রহণ করা, পিপিপি প্রকল্প অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয়া ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এডিপিতে আমাদের ৩০ শতাংশ পিপিপি প্রকল্প থাকার কথা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, সেটা যেন থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সরকারি ছুটি চলছে। সীমিত আকারে আমরা অফিস খুলে দিয়েছি। আমরা এখন পরিকল্পনা করছি, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি।
পিডি/এমএফ/এমএস