ঈদ আনন্দে কেটে যাক করোনার অভিশাপ
এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দ ম্লান হবারই কথা। চারদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। একটি অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে গোটা পৃথিবী বিপর্যস্ত৷ তবুও বলছি, ঈদ আনন্দে কেটে যাক করোনার অভিশাপ।
বলছিলেন, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। করোনাকালীন পরিস্থিতি এবং ঈদ প্রসঙ্গ নিয়ে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, “করোনার কারণে পাল্টে যাচ্ছে পৃথিবী। আমাদের প্রতিদিন নতুন সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যে সময় পৃথিবীর রূপ ফিরে আসবে।
শত সংকট চারদিকে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য জোর লড়াই করতে হচ্ছে। এ লড়াইয়ের কারণেই থমকে গেছে সব কিছু। এমন পরিস্থিতিতে এবার মুসলমানদের ঈদ আনন্দ। মানুষ শত সমস্যার মধ্যেও আনন্দ প্রকাশ করতে ভুলে যায় না। এবারও তাই হোক। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বাড়ছে বটে। কিন্তু মানসিক দূরত্ব কমে মানুষ মানুষের কাছাকাছি এসেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে শারীরিক দূরত্ব বাড়ছে, কিন্তু মানুষ এর আগে কখনই এত ভালোবাসার হাত বাড়ায়নি। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতেই একে-অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছে।”
উন্নয়ন প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারের প্রশ্নে উন্নত বিশ্ব উন্নয়নের নামে আগ্রাসন চালিয়েছে ক্রমাগতভাবে। প্রকৃতি হয়ত তার নিয়মে বদলা নিচ্ছে, যেখানে মানব জাতি বড়ই অসহায়। অস্থির মানুষকে স্থির করে দিল পৃথিবী। হয়ত অভিশপ্ত করোনা পরবর্তী পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদও হয়ে আসবে। মানুষ তার দায় উপলব্ধি করে সমাজকে সাজানোর সুযোগও পেল।
এই রাজনীতিক আরও বলেন, ‘করোনা ছোট-বড়, ধনী-গরিব কাউকেই ছাড়ছে না। সবাইকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে একই মহামারিকে৷ এই সংকট থেকে একটি বড় শিক্ষা হচ্ছে সমাজে শ্রেণি বৈষম্য দূর করতে পারলেই প্রকৃত মুক্তি।'
'এর আগেও পৃথিবীতে এমন সংসট এসেছে। মহামারি এসেছে। মানবজাতি এমন সংকট মোকাবিলা করেই টিকে আছে। এবারও জয় হবে মানুষেরই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন তার প্রিয় সৃষ্টিকে তার অসীম দয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করবেন'— যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এএসএস/এমএআর/এমএস