করোনার ছোবলে ধুঁকছে বিনোদনকেন্দ্র
যেখানে প্রতি ঈদ বা যে কোনো উৎসবে রাজধানীর সব বিনোদন কেন্দ্রে থাকে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শুধু ঈদের দিনই না, পরের তিন-চার দিন এই ভিড় থাকে। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। করোনা কেড়ে নিয়েছে মানুষের বিনোদন। তাই মানুষ এবার ঈদের দিন থেকে শুরু আজ চতুর্থ দিনেও রাধানীসহ আশপাশের কোনো বিনোদন কেন্দ্রেই যাচ্ছেন না।
প্রতি ঈদে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও খোলা জায়গা, মাঠ, পার্ক, লেক থাকে লোকে লোকারণ্য। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আফতাবনগর, হাতিরঝিল, মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেনের মতো এলাকায় ভিড় জমত অগণিত বিনোদনপ্রেমীর।
ভিড় নামে রাজধানীর আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, শাহবাগ শিশুপার্ক, শ্যামলী শিশুমেলা, ধানমন্ডি লেক, সংসদ ভবন চত্বর, চন্দ্রিমা উদ্যান, বিমানবাহিনী জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারসহ বিনোদনের স্থানগুলোতে।
এসব স্থানে পরিবারের সদস্য মিলে অনেকে আবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে দিনভর মেতে থাকতেন আডডা গল্পে। শহরের বন্দিজীবনে ঈদে ফাঁকা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সুখ অনুভব করতেন ঢাকায় থাকা মানুষজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ এসব স্থানে নেই কোনো মানুষের আনাগোনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর হাতিরঝিলে ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত তেমন লোক সমাগম হয়নি। এ ছাড়া কুড়িল ফাইওভার, ৩০০ ফিট রাস্তা, জিয়া কলোনি, উত্তরা দিয়াবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায়ও এমন অবস্থা।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস বন্ধ জাতীয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২০ মার্চ থেকে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ঈদ ছাড়াও বছরের সবসময় আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পর্যটন ও বিনোদন স্পটগুলোতে ঈদের দিন থেকে টানা কয়েকদিন দর্শনার্থীদের ঢল নামতো। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে আসা বহুসংখ্যক দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হতো দেশের লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর), বাংলার তাজমহল ও পিরামিডসহ সোনারগাঁওয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো।
কিন্তু আজ সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাংলার তাজমহল ও পিরামিড, ঐতিহাসিক পানাম নগরী, বারদীতে জ্যোতি বসুর জাদুঘর, বৈদ্যেরবাজার মেঘনা নদীর ঘাট, কাইকারটেক ব্রিজ এলাকাসহ বেশকিছু দর্শনীয় স্থান আছে কোথাও মানুষের ভিড় নেই।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম