গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি ক্যাবের
বাসের বাড়তি ভাড়ার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়বে। মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেবে। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। তাই বাস ও মিনিবাসের ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মঙ্গলবার (২ জুন) ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, 'সরকার বাস ও মিনিবাসের ভাড়া করোনাকালীন সময়ের জন্য কিছু শর্তসাপেক্ষে বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ১ জুন হতে ঢাকা মহানগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরসহ দেশের সব আন্তঃজেলা রুটে বাড়তি এই ভাড়া কার্যকর করা হয়।'
'কনজমুারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও অন্যান্য সংগঠনগুলো মহামারির এই সময়ে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি না করার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। সম্ভবত সরকার গণপরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
'সরকার যেসব শর্তাবলি দিয়ে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়েছে সেসব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত নয়। সরকার ভাড়া শতকরা ৬০ ভাগ বাড়ালেও অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মহামারির এই দুর্যোগ সময়ে দীর্ঘ দুই মাস ছুটিতে যখন জনজীবন এমনিতেই বিপর্যস্ত তখন বাস ও মিনিবাসের এই বাড়তি ভাড়ায় কর্মহীন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।'
'ক্যাব মনে করে, বাসের বাড়তি ভাড়ার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়বে। মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেবে। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। তাই বাস ও মিনিবাসের ৬০% ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে প্রদত্ত আদেশ বাতিল করতে হবে', বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এসআই/জেডএ/এমকেএইচ