নতুন রেকর্ড : করোনায় মোট মৃত্যুর ৩৯ শতাংশ গত ৯ দিনে
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত এবং ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটি একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) পর্যন্ত সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৭৫ এবং মারা গেছেন ৯৭৫ জন। প্রতিদিনই পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কাজে আসছে না! সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে বন্ধ হবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই মিছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চলতি জুনের গত ৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের অর্থাৎ মৃত্যুর ৩৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৯ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশের বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছর। গত ৯ দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ১৭৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৭০ বছর। এর মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৩ জন এবং ৬১-৭০ বছর বয়সে ৮৬ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না করোনা সংক্রমণ কবে শেষ হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার (প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, বাইরে গেলে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস এবং কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা) পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রায় দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে জীবন ও জীবিকার তাগিদে সরকার অফিস-আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন এ তিন ভাগে ভাগ করে লকডাউন শুরু করছে । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন ঠিকমতো লকডাউন করা গেলে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে।
এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ