যেসব নম্বরে মিলবে পূর্ব রাজাবাজারের জনসাধারণের জরুরি সেবা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় মঙ্গলবার (৯ জুন) রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকার জনসাধারণের যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য বেশকিছু ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এর আগে গত ৮ জুন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকার জন্য গঠিত কমিটির এক অনলাইন সভায় পূর্ব রাজাবাজারকে পরীক্ষামূলক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মানবিক সহায়তার জন্য- ৩৩৩, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪
কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য- ব্র্যাকের প্রতিনিধি ডা. ফারহানা ০১৭১৩-০৯৫২৭৯; আইইডিসিআর প্রতিনিধি ডা. ফারজানা ০১৭১৯-২১২৫৯১;
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য- ইক্যাব ও একশপের প্রতিনিধি রেজাউল হক জামি ০১৫৫৫-১১১৫৫৫,
টেলিমেডিসিনের জন্য- স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল হাসান ০১৭১০-৮১২১২০; ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল হাসান ০১৭১৫-৬৫৪৮৩৫
লকডাউন এলাকার কোনো কোভিড রোগীকে আইসোলেশনে নেয়ার দরকার হলে বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠাতে হবে। এজন্য বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. তানভীরের সঙ্গে ০১৯১৪-০৭১৪১৪ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সামগ্রিক যোগাযোগের জন্য
২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান ০১৯১১-৩৮০৬৩৩; আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ০১৭১৫-৪০৭১৩৯; ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী ০১৭১১-৯৩৯৭৯৬; শেরে বাংলা নগর থানার ওসি ০১৭১৩-৩৯৮৩৩৫।
জানা গেছে, এই এলাকার অসুস্থ রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু করা হবে। এছাড়া পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় অবস্থিত নাজনিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ থাকছে। এটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বুথটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
লকডাউন এলাকায় বসবাসকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। যা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এটুআই ও ইক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে। হোম ডেলিভারির জন্য ইতোমধ্যে একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে চান তাদের জন্য দু-একটি শাক-সবজি, মাছ-মাংসের ভ্যান, ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।
লকডাউন শুরুর পর থেকে কঠোরভাবে লকডাউন চলছে পূর্ব রাজাবাজারে। এজন্য ডিএনসিসি কিছু নিয়ম মানতে পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দাদের অনুরোধও করেছেন।
এএস/এমএফ/পিআর