করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বরাদ্দে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করছে।

কোভিড-১৯ নিরাময়ের জন্য সরকার বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, করোনা টেস্টের জন্য ল্যাবরেটরি স্থাপন, করােনাভাইরাসজনিত রােগের চিকিৎসাসরঞ্জাম, পিপিই সংগ্রহ এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলােতে আইসােলেশন ইউনিট স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা এবং করোনা চিকিৎসায় সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা সংক্রমিত হতে পারেন বা মারা যেতে পারেন তাদের সম্মানী ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনুবিভাগ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

মধ্য মেয়াদে ব্যয়ের খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার খাতে করোনা মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালীকরণ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতােমধ্যে জেলা ও উপজেলার প্রতিটি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষ আইসােলেশন ইউনিট খােলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ঢাকায় ১৪টি হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রােগীর চিকিৎসায় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং জেলা পর্যায়েও এ ধরনের হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার কাজ চলমান।

সরকার জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক এবং ছয় হাজার নার্স, আউটসাের্সিংয়ের মাধ্যমে মেডিকেল টেকনােলজিস্ট ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট নিয়ােগ করেছে। এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দুই মাসের বেসিক বেতনের সমান বিশেষ সম্মাননার ব্যবস্থা করেছে।

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের যারা সংক্রমিত হতে পারেন বা মারা যেতে পারেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এই ক্ষতিপূরণ ও সম্মানীর জন্য সর্বমােট ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মােট ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (বাজেটের ৫.২ শতাংশ) বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এমইউ/বিএ/এমকেএইচ