করোনায় মৃতদের ৭৬ শতাংশ পঞ্চাশোর্ধ্ব
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় এর ১০ দিন পর। এ পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৩ হাজার ৭৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৯৮৭ জন (৭৯ শতাংশ) ও নারী ৭৯৪ জন (২১ শতাংশ)।
বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, করোনায় মোট মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বোচ্চসংখ্যক পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭৬ শতাংশের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছর কম বয়সীদের, ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, করোনায় মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ১৯ জন (শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৫ জন (শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী (দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৩৮ জন (ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৫১১ জন (১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১ হাজার ৬৮ জন (২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ৮১৮ জন (৪৮ দশমিক ০৮ শতাংশ) রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৪১ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্বে একজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন ও ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৬৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৪৭ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৭ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৭৮১ জনে।
এমইউ/এমএসএইচ/পিআর